Advertisement
০৮ মে ২০২৪

টুকরো খবর

সারা শরীরে ব্যান্ডেজ জড়ানো ছেলেটা চিত্‌কার করে বলছিল, “আমায় একটু জল দাও।” কথা বলতে বলতেই ছেলেটা খানিকটা বমি করে নিস্তেজ হয়ে পড়ল। কিছু ক্ষণ পরে চিকিত্‌সক জানালেন, মৃত্যু হয়েছে হাবিবুল্লা মণ্ডলের (১১)। পাশের বিছানায় তখনও রক্তাক্ত অবস্থায় বেঁহুশ হয়ে পড়ে রয়েছে তারই বন্ধু সরিফুল মণ্ডল।

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০২:৪২
Share: Save:

বোমা ফেটে মৃত বালক, জখম সঙ্গী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

সারা শরীরে ব্যান্ডেজ জড়ানো ছেলেটা চিত্‌কার করে বলছিল, “আমায় একটু জল দাও।” কথা বলতে বলতেই ছেলেটা খানিকটা বমি করে নিস্তেজ হয়ে পড়ল। কিছু ক্ষণ পরে চিকিত্‌সক জানালেন, মৃত্যু হয়েছে হাবিবুল্লা মণ্ডলের (১১)। পাশের বিছানায় তখনও রক্তাক্ত অবস্থায় বেঁহুশ হয়ে পড়ে রয়েছে তারই বন্ধু সরিফুল মণ্ডল। বসিরহাটের গোঠরা পঞ্চায়েতের ঘোনাগ্রামের পূর্বপাড়ায় বোমা ফেটে বুধবার দুপুরে গুরুতর আহত হয় চতুর্থ শ্রেণির দুই ছাত্র। পুলিশ জানিয়েছে, হাবিবুল্লা মণ্ডল এবং সরিফুল মণ্ডল সম্পর্কে জ্যাঠতুতো-খুড়তুতো ভাই। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় হাবিবুল্লার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সরিফুলকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিত্‌সকেরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় বাড়ি ইউসুফ মণ্ডল এবং ইয়াকুব মণ্ডলের। এ দিন দুপুরে বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে খেলছিল ইউসুফ এবং ইয়াকুবের ছেলে হাবিবুল্লা ও সরিফুল। তাদের সঙ্গে ছিল প্রতিবেশী সাহিন মণ্ডল। বেলা দেড়টা নাগাদ সাহিনকে স্নানের জন্য তার মা ডেকে নিয়ে যায়। হাবিবুল্লা এবং সরিফুলের বাড়ি থেকেও ডাক পড়ে। বাড়ি যাওয়ার সময়েই রাস্তার পাশে পড়ে থাকা বলের মতো একটা জিনিস দেখে হাতে তুলে নেয় সরিফুল। তার হাত থেকে হাবিবুল্লা জিনিসটা নিতে গেলে মাটিতে পড়ে ফেটে যায়।

পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত কিশোর, বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • সন্দেশখালি

পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বয়ারমারি ২ পঞ্চায়েতের কলুপাড়া মোড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মাসুদ মোল্লা (১৪) নামে ওই কিশোরের মৃত্যুর পরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। রাস্তা অবরোধ করে জনতা। প্রায় দু’ঘণ্টা ওই পরিস্থিতি চলে। শেষ পর্যন্ত র্যাফ নামিয়ে অবস্থা আয়ত্তে আনা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পুলিশের একটি গাড়ি বাসন্তী রোড দিয়ে দ্রুতগতিতে মিনাখাঁর দিকে আসছিল। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি মুদির দোকানে ধাক্কা মারে। সে সময়ে দোকানের সামনের একটি বেঞ্চে বসেছিলেন কয়েক জন। সেখানেই ছিল মাসুদ মোল্লা। গাড়িটি পিষে দেয় তাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। আহত হয় বছর বাইশের আলেম মোল্লা নামে আরও এক যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বেঞ্চের সামনের দিকে মুখ করে বসায় গাড়িটি ধেয়ে আসতে দেখে কোনও মতে পালান। গাড়ির ধাক্কায় দোকানের একাংশ ভেঙে যায়। দুর্ঘটনার পরে চালক-সহ গাড়িতে থাকা অন্যরা পালায়।

বিজেপি কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ

বিজেপি কর্মী এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর সরানেখালি এলাকায়। বুধবার সকালে ওই মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মোজাম শেখ পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে। কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়। পাঁচ বছরের ছেলে ও তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে মহিলা সরানেখালিতে থাকেন। ঘটনার রাতে তিনি ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। সে সময় ছাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে মোজেম তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মহিলা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, মোজেম তৃণমূল কর্মী। একাধিকবার তাঁকে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার জন্য হুমকি দিয়েছিল সে। কথা না শোনায় তাঁর উপরে অত্যাচার চলেছে বলে তাঁর দাবি। বিজেপির ব্লক সভাপতি সুবল বিশ্বাস বলেন, “আমাদের ওই মহিলা কর্মীকে দল ছাড়ার জন্য তৃণমূল অনেকবার হুমকি দিয়েছে। সে কারণেই এই ঘটনা বলে আমাদের মনে হচ্ছে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক।” মোজাম তাঁদের দলের সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেননি গোসাবার বিধায়ক তৃণমূলের জয়ন্ত নস্কর। যদিও তিনি বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। মহিলার সন্মানহানি যারা করে, তারা যে দলেরই হোক না কেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।”

মাটি খুঁড়ে মিলল দেহ

মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। বুধবার সকালে দত্তপুকুরের ময়নার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি বাগান থেকে পাওয়া যায় রফিক আলি (৩০) নামে ওই যুবকের দেহ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৭ মার্চ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি দত্তপুকুরেরই নিবারুইয়ের বাসিন্দা ওই যুবক। থানায় ডায়েরি করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। পর দিন বাড়ির কাছ থেকেই উদ্ধার হয় রফিকের মোটর বাইকটি। ইমারতির মালপত্রের কারবারে যুক্ত ছিলেন রফিক। তাঁর বিরুদ্ধে খুন তোলাবাজির অভিযোগ ছিল বলেও পুলিশের দাবি। তদন্তে নেমে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। সেই সূত্রেই এ দিন রফিকের বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে নির্জন ওই বাগান থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় রফিকের পচা-গলা দেহ। সেটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

হঠাত্‌ কুয়াশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE