Advertisement
০৪ মে ২০২৪

টুকরো খবর

পুরসভার প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বাম ঐক্যে ফাটল দেখা দিয়েছে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকায়। পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি থেকে মঙ্গলবার সিপিআইয়ের হয়ে সুজিত সেন প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সুজিতবাবু স্থানীয় প্রভাবশালী সিপিআই নেতা প্রয়াত সাধন সেনের বড় ছেলে। পেশায় অধ্যাপক।

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৫ ০২:৩৮
Share: Save:

সিপিএমের শাখা সম্পাদক নির্দল প্রার্থী

নিজস্ব সংবাদদাতা • অশোকনগর

পুরসভার প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বাম ঐক্যে ফাটল দেখা দিয়েছে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকায়। পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি থেকে মঙ্গলবার সিপিআইয়ের হয়ে সুজিত সেন প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সুজিতবাবু স্থানীয় প্রভাবশালী সিপিআই নেতা প্রয়াত সাধন সেনের বড় ছেলে। পেশায় অধ্যাপক। কিন্তু বুধবার ওই ওয়ার্ড থেকে সিপিএমের স্থানীয় শাখা কমিটির সম্পাদক তাপস পাল নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কেন তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? তাপসবাবুর বক্তব্য, “বাম কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ মানুষ চেয়েছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৃণমূলের অতীশ ওরফে ঝুঙ্কু সরকারকে হারাতে এ বার আমাকে প্রার্থী করা হোক। দলের পক্ষ থেকে সিপিআইয়ের কাছেও সেই দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা তা মানেনি। সুজিতবাবু সম্পর্কে আমার জামাইবাবু। তবুও জনমতের চাপে আমাকে দাঁড়াতেই হয়েছে।” তাপসবাবুর কথায়, “এ দিনটা আমার কাছে খুবই কষ্টের।” সিপিএমের অশোকনগর জোনাল কমিটির সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, “সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। বাম কর্মী-সমর্থকেরা সকলেই বাম প্রার্থীর সঙ্গে থাকবেন।’’ সিপিএম সূত্রের খবর, তাপসবাবুকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করানোর জন্য চেষ্টা শুরু হয়েছে দলীয় স্তরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিএম এ বার ওয়ার্ডটি তাদের দেওয়ার দাবি করেছিল সিপিআইয়ের কাছ থেকে। তাপসবাবু প্রার্থী হতে পারেন এমন সম্ভাবনা ছিলই। সিপিএমের নেতারা তাপসকে সে জন্য প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে নিষেধও করেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কী বলছে সিপিআই? দলের অশোকনগর জোনাল কমিটির সদস্য মনীষীমোহন নন্দী বলেন, “১৯৮১ সাল থেকে ওই ওয়ার্ডে সিপিআই প্রার্থী দিয়ে আসছে পুরভোটে। তাপসবাবু নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোয় সমস্যা তো কিছুটা হলই।”

তাপস পালের বোন বিজেপির প্রার্থী

নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর

দাদা তৃণমূল সাংসদ। বোন বিজেপি প্রার্থী। পারিবারিক সম্পর্ক যাই হোক, দলীয় আদর্শ ভিন্ন জায়গায়। পেশায় আইনজীবী পাপিয়া পাল বায়েন এ বার চন্দননগর পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দাদারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু পার্থ দত্তের বিরুদ্ধে। পাপিয়াদেবীর দাদা তৃণমূলের সাংসদ ও অভিনেতা তাপস পাল। জন্ম থেকেই চন্দননগরের বাসিন্দা হলেও পরবর্তী কালে কর্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন তাপসবাবু। তিনি যে দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ, তার বিরোধী দলের আদর্শে অনুপ্রাণিত বোন পাপিয়া এ বার দাদার দলের বিরুদ্ধেই ভোটযুদ্ধে ময়দানে নেমেছেন। হঠাৎ বিজেপিতে? পাপিয়াদেবীর দাবি, কোনও দলের প্রতি কারও ভালবাসা একেবারেই তাঁর নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজেপিতে। চান দলের একজন অনুগত সৈনিক হতে। দাদা-বোনের সম্পর্কে কোনও প্রভাব? পাপিয়াদেবীর উত্তর, “দাদা-বোনের সম্পর্ক সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। তা ছাড়া এ তো নতুন নয়। একই পরিবারে এক এক জন সদস্য আলাদা আলাদা দলের আদর্শ নীতি মেনে চলার উদাহরণ রয়েছে। আমার কোনও রাজনৈতিক তকমা ছিল না। নরেদ্র মোদীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কিছু কাজ করতে চাই।’’

হামলার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শেষ হতে না হতেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কংগ্রেস প্রার্থী ও কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, বুধবার ভাটপাড়ায় পোস্টার-পতাকা লাগানোর সময়ে কংগ্রেস নেতা দেবজিত্‌ মুখোপাধ্যায়কে মারধর করেন তৃণমূল কর্মীরা। অন্য দিকে, ব্যারাকপুরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সুতপা দত্তকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগে সুতপাদেবী আরও বলেন, “প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।” অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

রেডিওর ধারাবিবরণীতে কান পেতে। বনগাঁয় নির্মাল্য প্রামাণিকের তোলা ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE