নদীপথে বিডিও অফিসে আসছেন মৎস্যজীবীরা। শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন সামসুল হুদা।
বন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, স্মারকলিপি দিলেন মৎস্যজীবীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোসাবা
বন দফতরের নানা নিয়ম-কানুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পশ্চিমবঙ্গ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে হাজার খানেক মৎস্যজীবী অবস্থান বিক্ষোভ করলেন। শুক্রবার গোসাবা ব্লকের সজনেখালি রেঞ্জ অফিসে তাঁরা স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৎস্যজীবীরা এ দিন ডিঙি নৌকোয় করে পাখিরালয়ে পৌঁছন। বেলা ৩টে থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা তাঁরা সজনেখালি রেঞ্জ অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন তাঁরা। মৎস্যজীবীরা জানান, চলতি বছরের ২৩ জুলাই বন দফতর মৎস্যজীবীদের স্বার্থবিরোধী কিছু নির্দেশ জারি করেছে। সে সবের বিরুদ্ধেই তাঁরা সরব হয়েছেন বলে জানান। মৎস্যজীবীরা দাবি করেন, নদী-খাঁড়িতে তাঁদের মাছ ধরার অনুমতি দিতে হবে। তাঁদের উপরে বন দফতরের দৈহিক-মানসিক অত্যাচার, হয়রানি বন্ধ করতে হবে বলেও তাঁদের দাবি। আন্দোলনকারী মৎস্যজীবীদের বক্তব্য, বন দফতর নানা সময় নৌকো-জাল আটকে রেখে হয়রান করে। বনে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গেলে জরিমানা আদায় করা হয়। এ সবের ফলে মৎস্যজীবীদের জীবিকা সংকটে পড়ছে। তারই প্রতিবাদে এ দিনের অবস্থান কর্মসূচি। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিএলসি (বোট লাইসেন্স সার্টিফিকেট) দেওয়ারও দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারী মৎস্যজীবীরা। পশ্চিমবঙ্গ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন মাইতির নেতৃত্বে মৎস্যজীবীরা এ দিনের আন্দোলনে সামিল হন। সম্পাদক বলেন, “মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা নির্বাহে অসুবিধা সৃষ্টিকারী সমস্ত কালা নির্দেশ বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে এ সব বন্ধ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে আমরা বাধ্য হব।” সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর কিশোর মানকার বলেন, “মৎস্যজীবীদের স্মারকলিপি থেকে তাঁদের দাবিগুলি জেনেছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।”
সমবায় ভোট নিয়ে উত্তেজনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • গাইঘাটা
সমবায় সমিতির নির্বাচনে সিপিএমের বুথ ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে গাইঘাটা থানা এলাকার জলেশ্বর মোড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। কিন্তু বহু বছর পর এই নির্বাচনে জয় লাভ করে তৃণমূল। ১২টি আসনেই জিতেছে তারা। সিপিএমের স্থানীয় জোনাল কমিটির সম্পাদক রমেন আঢ্যের অভিযোগ, এ দিন তৃণমূল বাইরে থেকে কিছু লোক নিয়ে এসে সিপিএমের বুথ ভাঙচুর করে। এমনকী, পাঁচ জন প্রার্থীকে বুথগ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়নি। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “অতীতে সিপিএম এখানে নির্বাচন করতে দেয়নি। নির্বাচনের দিন মারধর করে বিরোধীদের তাড়িয়ে দেওয়া হত। এ বার সুষ্ঠ ভোট হয়েছে বলেই জিতেছি।”
কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ জন
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোপালনগর
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তিন জনকে। ঘটনাটি গোপালনগর থানার দিঘারি এলাকার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ষোলোর ওই কিশোরী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাজারে গিয়েছিল। ফেরার পথে তাকে অন্ধকার রাস্তায় টেনে নিয়ে স্বল্প পরিচিত তিন যুবক। ধানখেতে গিয়ে তপন বিশ্বাস নামে এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অসীম রায় ও প্রিয় নামে তার সঙ্গী দু’জন পাহারায় ছিল। ধর্ষণের পরে মেয়েটিকে সেখানে ফেলেই পালায় ওই তিন জন। মেয়েটিকে রাস্তার পাশে বসে কাঁদতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে নিয়ে আসেন বাড়িতে। শুক্রবার থানায় অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা। নিশ্চিন্তপুর থেকে ধরা পড়ে অভিযুক্ত তিন জন। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় বনগাঁ হাসপাতালে।
কটূক্তির প্রতিবাদে ক্লাস বয়কট
যাদবপুর কাণ্ডের নিন্দা করে চাকদহের রাজারমাঠ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ক্লাস বয়কট করে গত বৃহস্পতিবার। অভিযোগ, বয়কট তুলতে গিয়ে তৃণমূল পরিচালিত ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক গোপালচন্দ্র রায় ছাত্রীদের উদ্দেশ্য কটূ মন্তব্য করেন। বিদ্যালয় চত্বরে পুলিশও ডাকেন। এর প্রতিবাদে শুক্রবার পড়ুয়ারা সম্পাদকের পদত্যাগ চেয়ে ফের ক্লাস বয়কট করে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপালবাবু।
গ্রেফতার তিন
চাল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় এলাকার কাশীপুরে। ধৃতদের মধ্যে এক জন সিপিএমের জেলা কমিটির প্রাক্তন এক সদস্যের ছেলে।
চলন্ত বাগান: অসীম সিকদারের তোলা ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy