টানা দু’দিন লোডশেডিং, অফিসে ভাঙচুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • মথুরাপুর
টানা দু’দিন ধরে এলাকায় বিদ্যুত্ সরবরাহ নেই। ঘন ঘন লোডশেডিং নিয়ে বিদ্যুত্ দফতরে জানিয়েও ফল হয়নি বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে দফতরের অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালালো ক্ষিপ্ত জনতা। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মথুরাপুরের রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন কোম্পানির শাখা অফিসে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে মথুরাপুর এলাকার গ্রামে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কেন এলাকায় টানা দু’দিন ধরে লোডশেডিং চলছে, সে বিষয়ে জানতে এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জনা ৫০ গ্রাহক দফতরের অফিসে আসেন। দফতর থেকে সদুত্তর না পেয়ে গ্রাহকদের মধ্যে কয়েক জন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। অফিসের মধ্যে ঢুকে এর পর টেবিল, চেয়ার, আলমারি অবাধে ভাঙচুর চালাতে থাকেন তাঁরা। অবস্থা বেগতিক দেখে দফতরের কর্মীরা বেরিয়ে এসে পুলিশে খবর দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শনিবার থেকে এলাকায় বিদ্যুত্ নেই। তা ছাড়াও কয়েক মাস ধরে সারা দিনে ৪-৫ ঘণ্টা করে লোডশেডিং চলছে। বিদ্যুত্ দফতরে জানালেও তাঁরা বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মথুরাপুর বিদ্যুত্ বণ্টন কোম্পানির সহকারি বাস্তুকার মানিক ব্যাপারি বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় লাইন মেরামতি এবং বৃষ্টির কারণে লোডশেডিং চলছিল। এ কথা ওঁদের বলা সত্ত্বেও এ দিন ভাঙচুর চালালেন। সমস্ত বিষয়ে পুলিশকে বলা হয়েছে।” এ দিকে ওই ভাঙচুর চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই এলাকায় বিদ্যুত্ চলে আসে।
চাঁদার জুলুম, ঘোজাডাঙায় পথ অবরোধ লরি চালকদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
পুজো আসতেই নানা জায়গায় বাড়ছে চাঁদার জুলুম। চাঁদা আদায়ের নামে লুঠতরাজ, সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সোমবার বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ট্রাক চালকেরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রায় দিন রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা তুলছে দুষ্কৃতীরা। কয়েক জনকে মারধর করে মোবাইল ফোন এবং অন্য জিনিসপত্র কেড়ে নিয়েছে। এ দিন ঘণ্টা পাঁচেক বিক্ষোভের জেরে ওল্ড সাথক্ষিরা রোডে বহু পণ্যবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে যায়। দীর্ঘ ক্ষণ সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকে। এর ফলে এক দিকে যেমন আর্থিক ক্ষতি হয়, তেমনই ওই রাস্তায় চলাচল করতে যাত্রীরা বড় রকম সমস্যায় পড়েন। শেষে পুলিশ গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তোলেন চালকেরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ ঘোজাডাঙার কাছে ট্রাক চালকদের একাংশ রাস্তার উপরে গাড়ি রেখে অবরোধ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের তরফে ইউসুফ আলি, গোপী গাইনরা বলেন, “রবিবার রাতে আমরা রসুন নিয়ে ঘোজাডাঙায় যাচ্ছিলাম। পথে দুষ্কৃতীরা রিভলভার দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা এবং মোবাইল কেড়ে নেয়। বাধা দিতে গেলে মারধরও করে।” লরি চালক ইউনিয়নের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, সীমান্তের পথে বরাবরই চাঁদার জুলুম। তার উপরে সম্প্রতি আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লরি চালকদের কাছ থেকে লুঠপাটের ঘটনা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে এ সব বন্ধ না হলে লরি চালকদের পক্ষে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাসিংয়ের দাবি, বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও ঠিক মতো ক্যাম্পাসিংয়ের ব্যবস্থা না করার অভিযোগে সোমবার বারাসতের কাজিপাড়ায় বিক্ষোভ দেখাল একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, ঠিকমতো ক্যাম্পাসিং না হওয়ায় তাঁদের চাকরি পেতে অসুবিধা হচ্ছে। পড়ুয়াদের উপরে কলেজে মানসিক নির্যাতন চলে বলেও তাঁদের অভিযোগ। এ সবেরই প্রতিবাদে এ দিন কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। রাত পর্যন্ত আটকে পড়েন শিক্ষকেরা। তবে মহিলা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সন্ধের আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে পুলিশ। কলেজের এক আধিকারিক শ্যামল চট্টোপাধ্যায় ছাত্রছাত্রীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ক্যাম্পাসিং হবে। কলেজের বিধিনিষেধ না মেনে কিছু পড়ুয়া এ সব করে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি করছে।”
পাটে ভর্তুকি দাবি বিক্ষোভ চাষিদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
চাষের খরচ থেকে শুরু করে ডিজেলের দাম গত কয়েক বছরে বেড়েছে কয়েক গুণ। বাড়েনি পাটের দাম। ফলে মার খাচ্ছেন পাট চাষিরা। এই অভিযোগে সোমবার বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন জেলার ৭০০ পাট চাষি। অতিরিক্ত জেলাশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তাঁরা। শীঘ্রই পাটচাষিদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়। চাঁপাডালি মোড়ের কাছে যশোহর রোড অবরোধ করেন তাঁরা। সংগঠন জেলা সম্পাদক দাউদ গাজি বলেন, “রাজ্যে সরকারের পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু নীতির পরিবর্তন হচ্ছে না। সরকার মুখে গরিবের কথা বলছে অথচ ঠিক মতো দাম না পেয়ে পাট চাষিরা এখন প্রায় মরতে বসেছেন।”
নিখোঁজ মত্স্যজীবী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাকদ্বীপ
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ হলেন এক মত্স্যজীবী। পুলিশ জানায়, ওই মত্স্যজীবীর নাম নটবর বারিক ওরফে উত্তম। কাকদ্বীপের অক্ষয়নগরের বাসিন্দা নটবর সহকর্মীদের সঙ্গে ‘এফবি মা গঙ্গা’ নামে একটি ট্রলারে এ দিন মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় ফেরার পথে বকখালি উপকূল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঢেউয়ের তোড়ে জলে পড়ে যান তিনি। সঙ্গী মত্স্যজীবীরা উদ্ধার করার চেষ্টা করেও পারেননি। সোমবার ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন নটবরের বাড়ির লোক। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর খোঁজ চলছে।
শব্দবাজি আটক
লক্ষাধিক টাকার শব্দবাজি আটক করল পুলিশ। ধরা পড়ে সুজিত দফাদার নামে বসিরহাটের তপারচরের এক ব্যবসায়ী।
এ বার রঙ ধরানোর পালা। বসিরহাটে নির্মল বসুর তোলা ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy