Advertisement
১১ মে ২০২৪

টুকরো খবর

ভিড়ে ঠাসা রাস্তায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় স্টেশনের কাছে জি সি রোডে। মৃতের নাম শেখ আফতাব ওরফে আসলাম (২৭)। সে পেশায় মাংস বিক্রেতা। এই ঘটনায় স্টেশন সংলগ্ন একটি খাটালের কয়েক জন দুধ বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৪
Share: Save:

দিনেদুপুরে গুলিতে খুন ব্যবসায়ী
নিজস্ব সংবাদদাতা • টিটাগড়

ভিড়ে ঠাসা রাস্তায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় স্টেশনের কাছে জি সি রোডে। মৃতের নাম শেখ আফতাব ওরফে আসলাম (২৭)। সে পেশায় মাংস বিক্রেতা। এই ঘটনায় স্টেশন সংলগ্ন একটি খাটালের কয়েক জন দুধ বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই এই খুন। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকেও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জি সি রোডের ধারে একটি খাটালে যায় আসলাম ও তাঁর শ্যালক শাহরুখ খান। সেখানেই ঘটনার সূত্রপাত। আচমকা খাটালের লোকজনের সঙ্গে আসলাম ও শাহরুখের বচসা শুরু হয়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। পুলিশ জেনেছে, আসলামকে মারতে মারতে বড় রাস্তায় নিয়ে আসে কয়েক জন। আসলাম পাল্টা মারার চেষ্টা করলে ভিড়ের মধ্যেই এক জন গুলি করে তাকে। আসলামের বুকে গুলি লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনার পরেই বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। কোন থানা তদন্ত করবে, তা নিয়েও চাপান-উতোর চলে। খাটালটি রেলগেট লাগোয়া রাস্তায় হওয়ায় জি আর পি তদন্ত করবে নাকি এলাকাটি খড়দহ থানার অন্তর্গত হওয়ায় তারা তদন্ত করবে, তা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। অবশেষে পুলিশকর্তাদের আলোচনার পরে টিটাগড় থানা তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারীরা জানান, শাহরুখের সঙ্গে ওই খাটালের এক দুধ ব্যবসায়ীর মেয়ে মাস কয়েক আগে পালিয়ে গিয়েছিল। কিছু দিন পরে সে বাড়ি ফিরে জানায়, তারা বিয়ে করেছে। এর পরেই দুই পরিবারের অশান্তি চরমে ওঠে। ওই কিশোরীকে দেশের বাড়িতে রেখে এলেও শাহরুখ ও আসলাম নিয়মিত তার বাড়িতে আসত বলে জেনেছে পুলিশ। এমনকী, আসলাম ওই কিশোরীর পরিবারকে ভয় দেখাত বলেও অভিযোগ। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুর বলেন, “নিজেদের মধ্যে গোলমালের জেরেই খুন বলে অনুমান। দু’পক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

অনাস্থায় অপসারিত সিপিএমের প্রধান
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার

অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতে অপসারিত হলেন সিপিএম প্রধান। বুধবার ডায়মন্ড হারবারের কামারপোল পঞ্চায়েতে ভোটাভুটি হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৬। সিপিএম ১০টি, তৃণমূল ৫টি এবং আরএসপি ১টি করে আসন পেয়েছিল। প্রধান হন সিপিএমের সাবিনা ইয়াসমিন। দিন পনেরো আগে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ তুলে সিপিএমের ৪ জন এবং আরএসপি সদস্য তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে অনাস্থা আনেন। সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য দোলেনা বিবির অভিযোগ, “প্রধান আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। উন্নয়নের কাজ প্রায় বন্ধ। তাই আমরা তৃণমূলে যোগ দিয়ে অনাস্থা এনেছি।” প্রধানের অবশ্য দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মিথা অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “প্রধান হওয়ার পরে এই এলাকায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার উন্নয়নের কাজ করেছি।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কাউকে চাকরি, কাউকে টাকার লোভ দেখিয়ে অনাস্থা এনেছে। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার বলেন, “ওই প্রধান স্বজনপোষণ ও দুর্নীতিপরায়ণ হওয়ায় সিপিএমের চার সদস্য আমাদের দলে যোগ দিয়ে অনাস্থা আনেন।”

আতঙ্ক কমেনি সাগরের গ্রামে
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাগর

জমিতে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সাগরের গ্রামে তৃণমূল-সিপিএমের গোলমালের জেরে পরিবেশ এখনও উত্তপ্ত। চারিদিকে থমথমে ভাব। মাস দেড়েক আগে কৃষ্ণনগর এলাকার তৃণমূল সমর্থক চন্দন প্রামাণিকের ভেড়ির মাছ মরে যায়। অভিযোগ, কিছু লোক বিষ ঢেলে মাছ মেরেছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে সালিশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার কয়েক দিন আগে গত শুক্রবার চন্দনবাবুর জমিতে সিপিএমের লোকজন জোর করে ধান কাটতে যায় বলে অভিযোগ। রাতারাতি সেখানে একটি নির্মাণ বানিয়ে ফেলা হয়। তৃণমূলের লোকজন বাধা দিতে গেলে গোলমাল বাধে। পুলিশ গিয়ে একজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ গ্রাম ছাড়ার পরে সিপিএমের লোকজন তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের উপরেও তৃণমূল হামলা চালায় বলে পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। দু’দলের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর চললেও পুলিশের কাছে এমন কোনও খবর নেই বলে থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।

পথ দুর্ঘটনায় ছাত্রীর মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট

পুলকারের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম আইরিন মণ্ডল (১১)। বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণী শহরের বুদ্ধপার্কের কাছে। ওই ঘটনায় আহত আরও দুই পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণির করণ প্রধান ও পঞ্চম শ্রেণির সৌপ্তিক কর্মকারকে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা সকলেই শহরের এ ব্লকের একটি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়া। এদিন বিকালে স্কুল ছুটির পর পুলকারটি কয়েক জন পড়ুয়াকে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছিল। শেষে তিন জন গাড়িতে ছিল। বিকাল পাঁচটা নাগাদ কল্যাণী বি ব্লকে আইরিনদের বাড়ির কাছে অপর একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে পুলকারটির। গাড়ি দু’টিকে আটক করা হয়েছে। চালকদের এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য জন পলাতক।

আরাবুলহীন সভা ভাঙড়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

পয়লা ডিসেম্বর শহিদ মিনারের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর সমাবেশ এবং ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশে মানুষকে আহ্বান জানানোর জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে এক সভার আয়োজন করেছিলেন ভাঙড় ২ ব্লকের তৃণমূল সদস্যরা। ভোগালি ১, ভোগালি ২ এবং চালতাবেড়িয়া গ্রামবাসীদের নিয়ে এই জনসভা করা হয়েছে। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার সহ-সভাপতি শক্তি মণ্ডল, তৃণমূলের যুব জেলা সভাপতি অঞ্জন দাস, ব্লক সভাপতি ওহিদুল ইসলাম, নান্নু হোসেন, সদ্য দল থেকে বহিষ্কৃত আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলাম। এই প্রথম আরাবুল ইসলাম ছাড়া সভা হল ভাঙড়ে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

স্ত্রী-র প্রেমিককে খুন করার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল রানাঘাট আদালত। মঙ্গলবারই ধানতলার বাসিন্দা বিষ্টু দাসকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন রানাঘাটের জেলা দায়রা বিচারক। বুধবার বিষ্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী তাপস কুণ্ডু বলেন, “২০০৭ সালের ৩১ জুলাই রাতে ধানতলা বাজারে সাধন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে খুন করেছিলেন বিষ্টুু দাস। সেই রাতেই তাঁকে ধরা হয়। তারপর থেকে জেলে ছিলেন তিনি।”

প্রয়াত সমাজসেবী

সম্প্রতি প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী হাজি এম এ করিম। বাদুড়িয়ার সায়েস্তানগর গ্রামের বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯১ বছরের করিম।

কণকচূড় ধান থেকে যে খই হয়, তা দিয়েই তৈরি হয় জয়নগরের মোয়া।
দক্ষিণ বারাসতে চলছে সে সবরেই প্রস্তুতি। শশাঙ্ক মণ্ডলের তোলা ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE