Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

মেয়াদ শেষে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে না পেরে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার ৭ কর্তা বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেওয়া হল থানায়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় ৯০ জন এজেন্ট ওই সংস্থার তিনটি আলাদা শাখার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেন ডায়মন্ড হারবার থানায়।

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২৮
Share: Save:

লগ্নি সংস্থার নামে নালিশ এজেন্টদের

নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার

মেয়াদ শেষে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে না পেরে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার ৭ কর্তা বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেওয়া হল থানায়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় ৯০ জন এজেন্ট ওই সংস্থার তিনটি আলাদা শাখার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেন ডায়মন্ড হারবার থানায়। ওই এজেন্টদের বক্তব্য, গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে না পেরে এখন মারধরের ভয়ে অনেককে ঘরছাড়া হয়ে থাকতে হচ্ছে। স্থানীয় এজেন্ট চিরঞ্জীব হালদার বলেন, “প্রায় ১৭‌ মাস ধরে টাকার জন্য ঘোরাচ্ছে সংস্থা। কলকাতায় লেনিন সরণির অফিসে গেলেও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পোস্ট ডেটেড কিছু চেক দেওয়া হয়েছিল লগ্নিকারীদের দেওয়ার জন্য। সেগুলি বাউন্স করেছে।” নেতড়ার এজেন্ট ঝুমকি জানার কথায়, “প্রায় ৪ মাস হল ঘর ছেড়ে থাকতে হচ্ছে। সুযোগ পেলেই ঘরদোর ভাঙতে আসছে লগ্নিকারীরা। কোনও রকমে লুকিয়ে-চুরিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারছি।”একই অবস্থা মহকুমার রীতা হালদার, জয়া ঘোষের মতো মহিলা এজেন্টদের। অভিযোগ, কারও কারও জায়গা-জমি জোর করে লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এক একজনের মাথায় প্রায় ৮-১৪ লক্ষ টাকার দেনা। সংস্থার চেয়ারম্যান নিরাপদ মাইতির ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। ডায়মন্ড হারবারের জলট্যাঙ্ক পাড়ায় সংস্থার অফিসে তালা ঝুলতে দেখা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।

ছাত্রীকে মার, প্রতিবাদে ঘেরাও

নিজস্ব সংবাদদাতা • কাকদ্বীপ

এক ছাত্রীর অভিভাবক অন্য এক ছাত্রীকে মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে জখম ছাত্রীর অভিভাবক ও প্রতিবেশীরা স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন। ভাঙচুরও চলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দিন কয়েক আগে প্রতিবেশী সহপাঠিনীর পারিবারিক বিবাদ হয়। অভিযোগ, বুধবার স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরার সময়ে স্কুলের অদূরেই এক ছাত্রীর পরিবারের লোকজন অন্য ছাত্রীটিকে মারধর করেন। কয়েক জন শিক্ষক গিয়ে তাঁদের আটকান। পরে তাঁরাই জখম ছাত্রীকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর এলাকায় রটতেই এ দিন দুপুরে শেফালির পরিবারের লোকজন স্কুলে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাঁদের প্রশ্ন, শিক্ষকদের সামনে ঘটনাটি ঘটল, অথচ স্কুল থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন? স্কুলের গেটে বিক্ষোভ চলাকালীন কিছু লোক ভিতরে ঢুকে গ্রন্থাগারের দু’টি গেটও ভেঙে ফেলেন। প্রধান শিক্ষক অগ্নিভ রায় বলেন, “দুই পরিবারের কোনও পারিবারিক ঝামেলার জেরেই ওই ছাত্রীকে মারধর করা হয়েছে। তা ছাড়া, স্কুলের মধ্যেও ঘটনাটি ঘটেনি। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।” আহত ছাত্রীর মা ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ঠিকাদারকে গুলি করে খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

শ্রমিক সরবরাহকারী এক ঠিকাদারকে মাথায় গুলি করল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার কেয়াতলায়। মৃতের নাম হুমায়ুন মোল্লা (৪৮)। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় একটি চায়ের দোকানে গল্প করছিলেন হুমায়ুন। আচমকা ৩০-৩৫ জনের একটি দল চড়াও হয়ে হুমায়ুনকে টেনে বার করে। তার পর তাঁর মাথায় তিনটি গুলি করা হয়। পুলিশ জানায়, প্রায় বছর কুড়ি ধরে একটি কারখানায় ঠিকা শ্রমিক সরবরাহ করেন হুমায়ুন। সম্প্রতি ওই এলাকার এক দৃষ্কৃতী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে হুমায়ুনকে শ্রমিক সরবরাহ থেকে সরে আসার জন্য শাসানি দিচ্ছিল। হুমায়ুন তা না করায় আক্রোশের বশেই গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি স্কুল তৈরি হচ্ছে। ওই স্কুলবাড়ি নির্মাণে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের বরাতও পেয়েছিল হুমায়ুন। তা নিয়েও ওই দুষ্কৃতীর সঙ্গে হুমায়ুনের বিরোধ শুরু হয়। অভিযোগ, শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেত্রীর মদতেপুষ্ট ওই দুষ্কৃতী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক পুলিশকর্তার কথায়, “আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি।”

ফের চুরি বসিরহাটে

বাড়িতে হানা দিয়ে ইটিন্ডার চৌরঙ্গিতে লক্ষাধিক টাকার অলঙ্কার-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। মাস খানেক আগে পর পর চুরির ঘটনা নিয়ে পুলিশি তত্‌পরতা শুরু হওয়ায় কিছু দিনের জন্য এলাকায় সে সব বন্ধ ছিল। কিন্তু বুধবার রাতে ফের একই ঘটনা। পুলিশ জানায়, এলাকার খোকন সরকার নামে এক ব্যক্তি পরিবার নিয়ে ওই দিন পাশের গ্রামে নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা খোলা। ঘরের ভিতরে আলমারি ভেঙে জিনিসপত্র সব তছনছ করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE