ধর্ষণের অভিযোগে নার্সিংহোম মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার দুপুরে মলয় সাহা নামে ওই চিকিৎসককে বারাসতে নিজের নার্সিংহোমের সামনে থেকেই ধরা হয়। বনগাঁ ও বারাসতে দু’টি নার্সিংহোম আছে তাঁর। এ দিন সন্ধ্যায় বনগাঁয় নিয়ে যাওয়া হয় মলয়বাবুকে। রবিবার তাঁকে বনগাঁ আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি চক্রান্তের শিকার বলে দাবি মলয়বাবুর।
কিছু দিন আগেও বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল মলয়বাবুর। দলের জেলা সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘কিছু অভিযোগ পাওয়ার পরে মলয়বাবুকে দলের কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি গোপালনগরের বাসিন্দা বছর সাতাশের এক মহিলা মলয়বাবুর বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যে আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি। মহিলার দাবি, বনগাঁয় মলয়বাবুর নার্সিংহোমে দিন সাতেক নার্স-চিকিৎসকদের রান্না, জামাকাপড় ধোয়া-কাচার কাজ করেছিলেন। রাতে থাকতেন সেখানেই।মহিলার কথায়, ‘‘ঘটনা ঘটে ৬ ফেব্রুয়ারি। রাত ১১টা নাগাদ মলয়বাবু আমাকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান। সেখানেই ধর্ষণ করেন। কাউকে কিছু না জানানোর জন্য হুমকি দেন।’’ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাড়িতে লোক পাঠান মলয়বাবু। মহিলার দাবি, মামলা প্রত্যাহার করলে কয়েক লক্ষ টাকা দেবেন বলেছিলেন ওই নার্সিংহোম মালিক। কিন্তু অভিযোগ জানাতে দেরি হল কেন? মহিলার দাবি, তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। পরে আত্মীয়-স্বজনেরা সাহস জোগান। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশ জানায়, এত দিন খোঁজ মিলছিল না মলয়ের। শনিবার বনগাঁ থানার এক ভিলেজ পুলিশকে আইসি সতীনাথ চট্টোরাজ মলয়ের বারাসতের নার্সিংহোমে পাঠান। ওই কর্মী রোগীর আত্মীয় সেজে ভিতরে গিয়ে দেখেন, মলয় সেখানেই আছেন। তিনি আইসিকে খবর দেন। সতীনাথবাবু উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে জানান। বারাসতের পুলিশ তাঁকে ধরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy