Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে

ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায় বলেন, ‘‘আমাদের তরফে পঞ্চায়েতের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের কিছু জিনিসপত্রও দেওয়া হয়েছে। এ বার তাঁদের কাজ করার কথা।

বেহাল: নর্দমায় জমে রয়েছে জল। নিজস্ব চিত্র

বেহাল: নর্দমায় জমে রয়েছে জল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৪০
Share: Save:

প্রচার হওয়ার কথা ছিল আরও বেশি। এলাকায় নালা নর্দমার নিকাশিরও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও কিছুই হল না। আর এর জন্য এলাকায় জল নেমে যেতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে।

ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ, নামখানা এবং সাগর থেকে ১৪ জনের ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একজনের ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়াও হয়েছিল। জুলাই মাস থেকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ম্যালেরিয়া নিয়ে ৬১ জন ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধরা পড়েছে। তাঁরা সাগর, কুলপি, বিশালাক্ষীপুর ছাড়াও ঢোলাহাট, নিশ্চিন্তপুর এবং মন্দিরবাজার এলাকা থেকে এসেছিলেন। ম্যালেরিয়ায় গত বছর নামখানার নারায়ণপুরে একজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। পাথরপ্রতিমায় জুন মাসে ২ জন এবং জু‌লাইয়ে ২ জনের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল। সাগরেও এ পর্যন্ত ২ জনের ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে।

ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায় বলেন, ‘‘আমাদের তরফে পঞ্চায়েতের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের কিছু জিনিসপত্রও দেওয়া হয়েছে। এ বার তাঁদের কাজ করার কথা। খতিয়ে দেখছি, কোথায় কোথায় ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার প্রচার অভিযান হচ্ছে না।’’

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার অভিযান চলার কথা ছিল জোরকদমে তা হয়নি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রভাব বাড়ে। এই সময়েই প্রচার চালানো হয়। সপ্তাহে একদিন করে হলেও বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ঘুরে ঘুরে বাড়ির আশেপাশে জমা জল ফেলার কথা বলেন। কী রকম কাজ হচ্ছে, তার মাসিক রিপোর্ট জমা করা হয় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপে তা জমা হলেও সাগরে জুলাই মাসের রিপোর্টই জমা হয়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাধ্য হয়ে হাসপাতাল থেকেই আশা, এবং এএনএম কর্মীদের দিয়ে কিছু স্কুলে প্রচার চালানো হচ্ছে।

কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্যনগর পঞ্চায়েতের থেকে প্রচার অভিযানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিলি থেকে শুরু করে কলকাতা পুরসভার ধাঁচে মশা মারার তেল ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কাকদ্বীপের বাকি পঞ্চায়েতগুলিতে কিন্তু সে রকম ভাবে কাজ হচ্ছে না বলেই অভিযোগ উঠছে। বিবেকানন্দ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় জমছে জল। দাসপাড়া, বুদ্ধপুরের মতো বেশ কিছু জায়গায় প্রচার হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ও দিকে রামকৃষ্ণ পঞ্চায়েতের পূর্ব গঙ্গাধরপুর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় অপরিষ্কার পরিবেশের মধ্যে জল জমছে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, প্রচার খুবই কম চোখে পড়ছে। কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনের অবশ্য দাবি, সব জায়গায় নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে। ভয়ের কিছু নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Malaria Kakdwip কাকদ্বীপ
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE