তখনও চলছে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
স্কুলের ভর্তি ফি বৃদ্ধির অভিভাবকদের আন্দোলনের জেরে পিছু হঠল স্কুল। মঙ্গলবার মগরাহাটের রাধানগর বিএনএম ইনস্টিটিউশনের ঘটনা।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে থেকে বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি শুরু হয়েছে। অভিযোগ, যেখানে রাজ্যে সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পিছু ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির জন্য ২৪০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৪০০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও। আন্দোলন চলাকালীন কয়েকজন অভিভাবক স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের হেনস্থার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়।
আন্দোলন চলাকালীন প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিকে নিয়ে কয়েকজন অভিভাবক বৈঠকে বসেন। ঘণ্টাখানেক বৈঠকের পরেও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ব্লক প্রশাসনের কোর্টে বল পাঠিয়ে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে বিডিওর মধ্যস্থতায় সিদ্ধান্ত হয়, বুধবার থেকে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির জন্য মাথা পিছু ২৪০ টাকা করেই নেওয়া হবে। আগে যারা বর্ধিত ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ডিএসও-র জেলা সভাপতি রামকুমার মণ্ডলের দাবি, সরকারের নির্দেশ না মেনে জেলার বিভিন্ন স্কুল ভর্তির সময়ে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। সব স্কুলেই আমরা আন্দোলন চালাচ্ছি।
কিন্তু সরকারি নির্দেশ না মেনে কেন বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছিল?
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের দাবি, গত বছরে মার্চ মাসে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকে স্কুলের উন্নয়নের জন্য ভর্তি হওয়ার সময়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক তথা তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের নেতা অজিত নায়েক বলেন, ‘‘স্কুলের উন্নয়নের জন্যই অতিরিক্ত টাকা নে
ওয়া হচ্ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy