অনির্বাণ হালদার
প্রায় ২০ দিন নিখোঁজ ছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রটি। অবশেষে বর্ধমান থেকে বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হল। বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ছেলের দেহ শনাক্ত করে পরিবার।
অনির্বাণ হালদার (১৭) নামে ওই ছাত্রটি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পড়তে যাওয়ার নাম করে সকালে বারাসতের বাড়ি থেকে বেরোয়। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। দুপুরের পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় ফোন। বিভিন্ন ভাবে ছেলের খোঁজ করেও সন্ধান না পেয়ে বারাসত থানা এবং সিআইডির কাছে নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ জানায় অনির্বাণের পরিবার। তার পরেও খোঁজ মেলেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে লালবাজার থেকে ফোনটা আসে অনির্বাণের বাবার কাছে। এর পরেই বর্ধমানে গিয়ে ছেলের দেহ শনাক্ত করে পরিবার। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, যে দিন অনির্বাণ নিখোঁজ হয়, সে দিনই সন্ধ্যার পরে বর্ধমান থেকে হাওড়াগামী ট্রেন চলে যাওয়ার পরে শক্তিগড় স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের ধার থেকে তার ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। এ দিকে অনির্বাণের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছোতেই শোকের ছায়া নেমে আসে। অনির্বাণের বাবা পীযূষ হালদার বলেন, ‘‘কী ভাবে ছেলে মারা গেল, তা জানতে চাই।’’ যদিও এ নিয়ে এখনও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়নি পরিবার। অনির্বাণের দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ট্রেন থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে ছেলেটির। তবে কী ভাবে পড়ে গেল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy