নির্যাতিতা: দুই মেয়ের সঙ্গে সৌমশ্রী বণিক। নিজস্ব চিত্র
স্কুল জীবন থেকে প্রেম। কিন্তু বিয়ের পরেই প্রেমের নটে গাছটি মুড়িয়েছে।
অভিযোগ, পণের দাবিতে অনেক দিন ধরেই চলছে অত্যাচার। পর পর দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় নিন্দে-মন্দ, কটূক্তি, মারধরের পরিমাণ আরও বাড়ে। চার বছরের মেয়েকে বাবা গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়, স্ত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে ঘর থেকে চুলের মুঠি ধরে বের করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে যুবকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি জয়নগরের মায়াহাউরি গ্রামের। পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছেন সৌম্যশ্রী বণিক নামে ওই তরুণী।
দিন দশেকের কোলের মেয়েটি এবং চার বছরের আর এক সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে উঠেছেন তিনি। সৌম্যশ্রীর স্বামী পার্থসারথি বণিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ১২ তারিখে ডায়েরি হয়েছে। সেই মতো তদন্ত চলছে।
সৌম্যশ্রীর কথায়, ‘‘আমাকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত। বলত, আমি নাকি অপয়া। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেই ভাল। আমি মরে গেলেও ও খুশি হবে, এ সব কথা বলতেও মুখে আটকাত না। রোজ বাড়ি ফিরে মারধর করত স্বামী।’’
তারপরেও স্বামীর সংসার করছিলেন। কিন্তু সৌম্যশ্রীর কথায়, ‘‘দু’টো মেয়ে হওয়ায় অত্যাচার বাড়ছিল। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মুখ বুজে ছিলাম। কিন্তু রবিবার বিকেলে সহ্যের বাঁধ ভাঙে।’’
সৌম্যশ্রী জানিয়েছেন, ওই দিন বিকেলে তিনি মেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। স্বামী ঘরে ঢুকে চুলের মুঠি ধরে টেনে তোলে তাকে। বড় মেয়ে তনুশ্রীকে গলা টিপে খুন করতে যায়। সে কোনও মতে পালিয়ে বাঁচে।
রাগে সৌম্যশ্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেয় পার্থ। চুলের মুঠি ধরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
সৌম্যশ্রী বলেন, ‘‘আর ওই বাড়িতে ফিরতে চাই না। বাবার সামান্য আয়। কিন্তু যে ভাবে রোজগার করে মেয়েদের বড় করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy