বাজেয়াপ্ত: তরল মাদক। পেট্রাপোলে। নিজস্ব চিত্র
পণ্যবাহী ট্রাকের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল ১৫ লক্ষ টাকার তরল মাদক, কোডাইন ফসফেট।
বনগাঁ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কালীবাড়ি বাজার এলাকা থেকে একটি বড় ট্রাক আটক করা হয়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তিরিশ পেটি মাদক উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ট্রাকে করে গাড়ির যন্ত্রাংশ যাচ্ছিল পেট্রাপোল বন্দরে। যা বাংলাদেশে রফতানি হওয়ার কথা ছিল। যন্ত্রাংশ ছিল, কাঠের ছোট ছোট বাক্সের মধ্যে। তার মাঝে প্লাস্টিকের বস্তায় কাগজের প্যাকেটের মধ্যে ছিল কোডাইন। ৯০০টি বোতল উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ ওই ট্রাকের চালক ধর্মেন্দ্র যাদবকে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি হরিয়ানায়। ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক তরল মাদক পাচার চক্র ওই ঘটনার পিছনে রয়েছে। ট্রাকটি আসছিল গুরগাঁও থেকে। ফারিদাবাদ থেকে ওই তরল মাদক ট্রাকে তোলা হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
এই ঘটনায় পেট্রাপোল বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পণ্য নিয়ে আসা কনটেনারগুলি কার্যত কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বাংলাদেশে চলে যায়। বনগাঁর পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘শুল্ক দফতরের তল্লাশি ছাড়া কনটেনারগুলি বাংলাদেশে মালপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে। ওর মধ্যে অন্য জিনিসপত্র চলে যাওয়া যে অসম্ভব নয়, তা এ দিনের ঘটনা প্রমাণ করল।’’
পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় নতুন সুসংহত চেকপোস্ট তৈরি হয়েছে। সেখানে স্ক্যানার মেশিন রয়েছে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেরায় অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্ক্যানার মেশিন থাকলেও তা এখনও চালু হয়নি। এটা ঠিক যে, কনটেনারগুলি একশো শতাংশ পরীক্ষা করা হয় না।’’ বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে ট্রাকের মধ্যে সোনার বিস্কুট, হেরোইন, কোকেন নিয়ে আসার প্রমাণ মিলেছে। তারপরও নিরাপত্তা জোরদার হয়নি।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন, সীমান্তে সব ট্রাকে তল্লাশি চালাতে গেলে যে বিপুল সময় খরচ হবে, তা কতখানি বাস্তবসম্মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy