Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অন্ডালের জমিদাতাদের নিয়ে দুর্গাপুরে ফের মিছিল বিজেপির

তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ‘শিল্প বাঁচাও কমিটি’ গড়ে আন্দোলনের ডাকের বিরুদ্ধে মাঠে নামল বিজেপি এবং ‘অন্ডাল ব্লক কৃষি জমি রক্ষা কমিটি’। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে গোপালমাঠে বিজেপি-র দুর্গাপুর ২ ব্লক কমিটির উদ্যোগে অন্ডালের ‘অনিচ্ছুক’ চাষি, বর্গাদার ও খেতমজুরদের সমর্থনে সভা করা হয়। বড় মিছিল গোপালমাঠ পরিক্রমা করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩৪
Share: Save:

তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ‘শিল্প বাঁচাও কমিটি’ গড়ে আন্দোলনের ডাকের বিরুদ্ধে মাঠে নামল বিজেপি এবং ‘অন্ডাল ব্লক কৃষি জমি রক্ষা কমিটি’। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে গোপালমাঠে বিজেপি-র দুর্গাপুর ২ ব্লক কমিটির উদ্যোগে অন্ডালের ‘অনিচ্ছুক’ চাষি, বর্গাদার ও খেতমজুরদের সমর্থনে সভা করা হয়। বড় মিছিল গোপালমাঠ পরিক্রমা করে। বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য নরেশ কোনারের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরের চাষিদের সমর্থনে ২৬ দিন অনশন করেছিলেন। আসন্ন আসানসোল-দুর্গাপুর সফরের সময় তিনি যেন অন্ডালের চাষিদের জন্য ২৬ মিনিট সময় দেন। সিঙ্গুরের মতোই অন্ডালের চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত।”

সিঙ্গুরের মতো অন্ডালেও জমি অধিগ্রহণ হয়েছিল বাম আমলে। জমি রক্ষা কমিটির দাবি, ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে প্রায় ১০৯ একর জমির ছ’শোর বেশি জমিমালিক চেক নেননি। ক্ষতিপূরণ পাননি হাজার তিনেক খেতমজুর ও বর্গাদার। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ-সহ নানা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে এই কমিটি। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। তবে বিজেপি-র আন্দোলন শুধুই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশে, এই অভিযোগ তুলে গত রবিবার দুর্গাপুরের দুবচুড়ুরিয়ায় ‘শিল্প বাঁচাও কমিটি’ গড়ে আন্দোলনের ডাক দেন তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী। তবে এই কমিটি অরাজনৈতিক মঞ্চ হবে বলে দাবি করেন তাঁরা। তাঁদের আরও দাবি, অন্ডালে কোনও অনিচ্ছুক চাষি নেই। যে ১০৯ একর জমি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তার অনেকটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। সে দিনই ‘কৃষি জমি রক্ষা কমিটি’র সম্পাদক সুশীল ঘোষ জানিয়েছিলেন, পাল্টা জবাব দিতে মঙ্গলবার ‘অনিচ্ছুক’ চাষিদের নিয়ে গোপালমাঠে সমাবেশ হবে।

এ দিন মিছিলে পা মেলান কৃষি জমি রক্ষা কমিটির সদস্যেরা। বিজেপি-র নরেশবাবুর অভিযোগ, “গত তিন বছরে শিল্পাঞ্চল অতিষ্ঠ তোলাবাজির দাপটে। বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মানুষ সব দেখছেন, বুঝছেন।” তাঁর আরও দাবি, তৃণমূলের নেতারা অন্ডালের জমি মালিকদের পাশে প্রথম দিকে ছিলেন। কিন্তু পালাবদলের পরে তাঁরাও বদলে যান। এ দিন সভা ও মিছিলে ভাল ভিড় হয়েছিল। তা দেখে নরেশবাবুর বক্তব্য, “সে দিন শিল্প বাঁচাও কমিটির নাম করে বাইরে থেকে কয়েক জনকে ধরে এনে অনিচ্ছুক জমিমালিক, বর্গাদার ও খেতমজুরদের স্বার্থবিরোধী সভা করা হয়েছিল। এই সভায় তার থেকে কয়েকগুণ বেশি মানুষ স্বতস্ফূর্ত ভাবে সামিল হলেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

andal durgapur landlord bjp rally
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE