Advertisement
১১ মে ২০২৪

খনির অফিসে তালা আইএনটিটিইউসি-র

খনির আবাসন থেকে বহিরাগত উচ্ছেদের চেষ্টার পরে কোলিয়ারির অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিল শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন। জামুড়িয়ার শ্রীপুর এরিয়ায় নিঘা ও শিবডাঙা খনির নানা অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে খনির উৎপাদন বন্ধ হয়নি বলে ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে। ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘এ ভাবে যদি অফিস তালা বন্ধ করে রাখা হয় তাহলে প্রয়োজনে খনি দু’টি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০১:০৮
Share: Save:

খনির আবাসন থেকে বহিরাগত উচ্ছেদের চেষ্টার পরে কোলিয়ারির অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিল শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন। জামুড়িয়ার শ্রীপুর এরিয়ায় নিঘা ও শিবডাঙা খনির নানা অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে খনির উৎপাদন বন্ধ হয়নি বলে ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে।

ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘এ ভাবে যদি অফিস তালা বন্ধ করে রাখা হয় তাহলে প্রয়োজনে খনি দু’টি বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা কোনও ভাবে চাপের মুখে মাথা নত করব না।’’ তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন অবশ্য বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা দল বরদাস্ত করে না। দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীপুর এরিয়ার এক আধিকারিকের নামে একটি আবাসন অনুমোদন করা হয়েছে। কিন্তু সেই আধিকারিক দিন কয়েক আগে আবাসনে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, তা এক বহিরাগত দখল করে রেখেছেন। এর পরে এ দিন সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ ওই আবাসন দখলমুক্ত করতে যায়। কিন্তু আইএনটিটিইউসি-র নেতৃত্বে এক দল বাসিন্দা তাতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভের মুখে পড়ে আবাসন দখলমুক্ত করা যায়নি বলে ইসিএল সূত্রে জানা যায়।

কিন্তু তার পরেই গোলমাল শুরু হয়। নানা দাবি-দাওয়া তুলে দু’টি খনির বিভিন্ন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন আইএনটিটিইউসি-র কর্মী-সমর্থকেরা। সংগঠনের নেতা বাপি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “খনি কর্তৃপক্ষ ঠিক বলছেন না। তাঁরা ইচ্ছে মতো যাকে খুশি আবাসন অনুমোদন করছেন। দিন পনেরো আগে এক মৃত শ্রমিকের স্ত্রীর নামে একটি আবাসনের অনুমোদন করা হয়। এ দিন তা খারিজ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বেহাল। সে নিয়ে বারবার বিক্ষোভ দেখিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি।’’ তাঁর দাবি, উৎপাদন বন্ধ না করে কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে এর প্রতিবাদ করেছেন তাঁরা। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘দাবি না মিটলে তালা খোলা হবে না।”

ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে দু’টি অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু রাত পর্যন্ত অফিসের তালা খুলতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশের কর্তারা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE