মহকুমাশাসকের দফতরে প্রশাসনিক বৈঠক করে আজ, সোমবার জমির দাম ঘোষণা করবেন এনটিপিসির কাটোয়া প্রকল্পের কর্তারা। ওই বৈঠকে জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসকেরা (ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক) ছাড়াও কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীলকুমার মণ্ডল, বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা হাজির থাকবেন বলে মহকুমাশাসক মৃদুল হালদার জানিয়েছেন।
গত ১০ জুন সর্বদলীয় বৈঠকে সমস্ত রাজনৈতিক দল হাত ধরাধরি করে কাটোয়াতে এনটিপিসি তাপবিদ্যুৎ গড়ুক বলে সায় দিয়েছিল। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাজ্য সরকারও অবস্থান বদলে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যেই জন্য রাজ্য সরকার এনটিপিসিকে ১০০ একর জমি দিতে রাজি হয়েছে। তবে এর বাইরেও এনটিপিসিকে আরও ২০২ একর জমি একসঙ্গে কিনতে হবে। এই জমি রয়েছে শ্রীখণ্ড, চূড়পুনি ও দেবকুণ্ডুু মৌজায়। এনটিপিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে পদ্ধতিতে বিগত বাম আমলে ৫৫৬ একর জমি অধিগ্রহণ হয়েছে, সেই পদ্ধতি মেনেই তাঁরা জমির দাম নির্ধারণ করেছেন। সেই অনুসারে চূড়পুনি মৌজায় জমির দাম ঠিক হয়েছে একর প্রতি ১৭ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে, এনটিপিসি কর্তারা চাষিদের কাছ থেকে জমি কেনার জন্য মাঠে নেমে পড়েছেন। এনটিপিসির নিয়োগ করা আইনজীবীরা বিশেষ শিবির করে জমির মালিকদের দলিল-পরচা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করছেন। এনটিপিসি কাটোয়াতে আপাতত ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উপাদন করবে। জমি পেলে আরও একটি ইউনিট তাঁরা গড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন এনটিপিসির চেয়ারম্যান অরূপ রায়চৌধুরী। কলকাতার বণিকসভার এক অনুষ্ঠানে অরূপবাবু জানান, কাটোয়াতে তাপবিদ্যুৎ তৈরির জন্য দেশি-বিদেশি পাঁচটি সংস্থা দরপত্র জমা দিয়েছিল। বুধবার সেই দরপত্র খোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy