পুরভোটকে সামনে রেখে কালনায় আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। দলের জেলা কমিটির উদ্যোগে ২৫ ডিসেম্বর একটি প্রকাশ্য সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে হাজির থাকার কথা রাজ্য সম্পাদক রাহুল সিংহের। ইতিমধ্যেই সেই সভার প্রচারেও নেমে পড়েছে বিজেপি।
২০১৫ সালের জুন মাস নাগাদ কালনা পুরসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই পুর নির্বাচন হবে তা ধরে নিয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। বছর দেড়েক আগেও কালনা শহরে বিজেপির তেমন প্রভাব ছিল না। তবে লোকসভা নির্বাচনে শহরের ১৮টি ওয়ার্ড থেকে ভালই ভোট পায় বিজেপি। এরপর থেকেই শহরে নানা কর্মসূচি নেয় তারা। রাজ্য সম্পাদকের সভায় ভিড় বাড়াতেও কর্মিসভা শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। দলের জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিক বলেন, “কালনা শহরের সভাটি হবে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। ওই সভা থেকেই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করা হবে জোরকদমে। রাজ্য সম্পাদকের সঙ্গে সভায় হাজির থাবেন জেলার নেতারাও।” শাসক দলও পাল্টা সভা করবে কি না জানতে চাওয়া হলে পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিত্ কুণ্ডু জানান, জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শহরে বসতে চলেছে পুর উত্সব। এই উত্সব মেটার পরই দলীয় ভাবে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হবে। বিশ্বজিত্বাবুর কটাক্ষ, কালনা শহরে ওদের লোকজনের গ্রহনযোগ্যতা তলানিতে। ফলে যে কেউই সভা করুক না কেন তাতে দলের কিছু এসে যাবে না।
লালন উত্সব। ২৬-২৯ ডিসেম্বর বর্ধমানে লালন উত্সবে দুই বাংলার ৬০ জনেরও বেশি বাউল-ফকির যোগ দেবেন। শেষ দিন মঞ্চস্থ হবে ওপার বাংলার নাটক, ‘মহাজনের নাও’। উত্সব কমিটি জানায়, বর্ধমানের বড়নীলপুরে এই প্রথম এই উত্সব হচ্ছে। প্রচারও শুরু হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে বর্ধমানের বইমেলায় চলছে বাউলগান। উদ্যোক্তারা জানান, ১৯ ডিসেম্বর বইমেলার মঞ্চে গাইবেন নদিয়ার আমিরুল ফকির ও বর্ধমানের গিরীশ ও কৃষ্ণদাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy