নিকাশি নালা তৈরি করা নিয়ে বিবাদে খুন হলেন এক ব্যক্তি। আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রীও। রবিবার বিকেলে বুদবুদের বিপিনপুরে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম স্বপন বিশ্বাস (৬২)। খুনের অভিযোগে স্বপনবাবুর প্রতিবেশী সুমন্ত সাঁইয়ের মা আরতি সাঁইকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু আগে থেকেই স্বপন বিশ্বাসের পরিবারের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী সুমন্ত সাঁইদের বিবাদ চলছিল। মাঝেমধ্যেই দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হত। এ দিন বিকেলে স্বপনবাবুর বাড়ির বাইরে রাস্তার পাশে একটি নিকাশি নালা তৈরির কাজ চলছিল। সেই নিয়েই দুই বাড়ির বচসা শুরু হয়। বচসা চলতে চলতে হঠাৎই সুমন্ত, তার মা আরতি সাঁই, বোন গোপাদেবী লোহার রড, ছুরি, ভোজালি ,তলোয়ার নিয়ে ওই দম্পত্তির উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার মাঝেই লুটিয়ে পড়েন স্বপনবাবু ও তাঁর স্ত্রী। আচমকা হামলাতে হতচকিত হয়ে পড়েন অন্যান্য প্রতিবেশীরাও। ঘোর কাটিয়ে আশপাশের পড়শিরা ছুটে আসার আগেই ঘটনাস্থল থেকে পালায় হামলাকারীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বপনবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে মানকর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বপনবাবুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর স্ত্রী অনুপমাদেবীর গলায় গুরুতর চোট লেগেছে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ক্রমশ অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
এ দিকে এই ঘটনার পরে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, মৃত স্বপনবাবু তাঁদের সমর্থক ছিলেন। বিজেপির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা নরেশ কোনার দাবি করেন, মৃতের স্ত্রী একসময় তাঁদের দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তিনি বলেন, “এটা একটা রাজনৈতিক হত্যা। পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করুক।” তবে পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছে। বর্ধমানের পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জা জানান, জমি সংক্রান্ত বিবাদে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy