সড়ক ও গরিব মানুষের বসত বাড়ি নির্মাণে বরাদ্দ বৃদ্ধি করল জেলা পরিষদ। শুক্রবার জেলাপরিষদের অঙ্গীকার হলে আয়োজিত সাধারণ সভায় ২০১৫-১৬ আর্থিক বর্ষের খসড়া বাজেট পেশ হয়। জেলা পরিষদের সদস্য ও কর্মাধ্যক্ষদের উপস্থিতিতে মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যেই মোট ১০৪৬ কোটি টাকার এই বাজেট পেশ হয়। বাজেট পেশ করার পরে সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “এ দিন সর্বসম্মতিতেই খসড়া বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। তবে সদস্যদের সুপারিশ ও আলোচনার সাপেক্ষে সংশোধনী এলে সেগুলি বিবেচনা করে আগামী ২৫ মার্চ ওই বাজেট গৃহীত হবে।” সে দিনই সাধারণ সভা ডেকে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হবে বলে জানান তিনি।
জেলা পরিষদের এক কর্তা জানান, গত বার সড়ক ও পরিবহণ খাতে বরাদ্দ ছিল ৪০০ কোটি টাকা। এ বার সেটি বেড়ে হয়েছে ৬৩৬ কোটি ৬৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৭৪ টাকা। জেলা সভাধিপতির দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় বরাদ্দ টাকা আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অথচ জেলায় এখনও প্রচুর কাঁচা রাস্তা রয়েছে। গ্রামীণ এলাকার ২১টি রাস্তার টেন্ডার চূড়ান্ত হলেও কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তাই নিজেদের তহবিলের অর্থ খরচ করে সেই রাস্তা পাকা করা হবে। রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হলে কর্মসংস্থান বাড়বে বলেও আশা করেছেন তিনি। জেলা পরিষদের এক কর্তার আশা, “রাস্তাগুলি তৈরি হয়ে গেলে তার দু’পাশে থাকা জমিতে নতুন শিল্প গড়ে উঠবে।” রাস্তা তৈরির সঙ্গেই গরীব মানুষের জন্য বাড়ি তৈরিরও উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। এ বারের খসড়া বাজেটে এই বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইন্দিরা আবাস ও গীতাঞ্জলী প্রকল্পের আওতায় বিপিএল তালিকাভূক্ত পরিবারদের এই বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ খাতে বরাদ্দ হয়েছে ২৫৫ কোটি ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ২৫৮ টাকা। শিক্ষা,সংস্কৃতি,তথ্য ও ক্রীড়া খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১৫ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮৯ টাকা। নারী ও শিশু উন্নয়ন, জনকল্যাণ ও ত্রাণ খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৭ কোটি ৬৮ লক্ষ ১৩ হাজার ৫৬৩ টাকা। খাদ্য সরবরাহ খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৫৮ কোটি ৯৪ লক্ষ ৫ হাজার ৩৮৯ টাকা। তুলনায় বরাদ্দ কমেছে কৃষি সেচ ও সমবায় খাতে। গত বার এই খাতে বরাদ্দ ছিল ১৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৮৯ টাকা। এ বার সেটি কমে হয়েছে ১২ কোটি ২৯ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮৯ টাকা। কৃষি প্রধান জেলায় কৃষি খাতে কম বরাদ্দ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মঙ্গলকোট থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য বিকাশ চৌধুরী এই বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy