শিল্পাঞ্চলের দর্শকরা এ বছর কালী পুজোয় ইচ্ছে মতো পরীর দেশে হারিয়ে যাচ্ছেন। আবার কখনও বা গোয়ার কোনও অচেনা গির্জায় খুঁজে নিচ্ছেন ক্ষণিকের নিস্তব্ধতা। থিমের চমক দিয়ে অন্তত এমনটাই দাবি করছেন শিল্পাঞ্চলের কালী পুজো উদ্যোক্তারা।
এ বার ৪২ বছরে পড়ল অন্ডাল পোস্ট অফিস মোড়ের রেজিমেন্ট অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজো। উদ্যোক্তারা জানালেন, এ বার কাল্পনিক মন্দিরের আদলে গড়ে উঠেছে তাঁদের পুজো মণ্ডপ। তবে মূর্তিতে সাবেক শৈলীই বজায় রাখা হয়েছে। অ্যাথলেটিকের অন্যতম উদ্যোক্তা গৌতম চক্রবর্তীর দাবি, “প্রতি বছরের মত এ বারও আমরাই সবথেকে বেশি দর্শক টানতে চলেছি।”
কয়েক পা এগোলেই ট্রাফিক জিমনেসিয়াম। ৪৭ বছরের এই পুজোয় থিম ‘পরীর দেশ’। মণ্ডপ জুড়ে রয়েছে প্রচুর পরীর মূর্তি। মণ্ডপের আঙ্গিকও যথেষ্ট সঙ্গত রেখেই করা হয়েছে। আয়োজক সংস্থার সভাপতি অমরনাথ সরকার জানান, পুজো উপলক্ষে ৭ দিনের মেলাও বসছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। অমরনাথবাবুর দাবি, পরীর দেশ শিশুদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয় হবে।
এনইউসি ৪৫ বছরে পা দিল। দর্শকদের চমকে দিতে এনইউসি-র বাজি, ১৮ ফুট দীর্ঘ কালী। অন্ডাল রেল শহরের সব থেকে পুরনো সর্বজনীন পুজোটি ৫৮ বছরের পুরনো। ওই পুজোর আয়োজক চিত্তরঞ্জন বয়েজ ক্লাবের মণ্ডপে থাকছে কাল্পনিক মন্দিরের আদল। ক্লাবের তরফে হিমাদ্রি মণ্ডল জানান, রুচি সম্মত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
পাণ্ডবেশ্বরের তফসিলি উন্নয়ন সমিতির পুজোর বয়স ৪০। দর্শক টানতে এ বার তাদের বাজি গোয়ার গির্জার আদলে তৈরি মণ্ডপ। তবে মূর্তিতে রয়েছে সাবেক ডাকের সাজ। আয়োজকদের তরফে কীর্তন কোটাল জানান, ২৭ তারিখ মূর্তি বিসর্জন হয়ে গেলেও ৩১ তারিখ বিচিত্রানুষ্ঠান ও পয়লা নভেম্বর থাকছে সমীরণ দাস বাউলের গান।
রানিগঞ্জের রানিসায়রে নওযুবক সঙ্ঘের পুজো শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। এখানেও মণ্ডপে রয়েছে কাল্পনিক মন্দিরের ছোঁয়া। আয়োজকদের তরফে সাধন দাস জানান, এলাকায় কোনও পুজো ছিল না। বাসিন্দাদের চাহিদাতেই পুজো শুরু হয়। এখন এটাই তাঁদের সব থেকে বড় উত্সব। রানিগঞ্জ অশোকপল্লি উন্নয়ন সমিতির পুজো এ বছর ৪৯ বছরে পড়ল। ব্যাঙের ছাতার আদলে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ।
এক কথায় দর্শক টানতে দুর্গোত্সবের মতো কালী পুজোতেও থিমের উপরেই ভরসা রাখছেন উদ্যোক্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy