ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ।
বারুদঘরে বিস্ফোরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন বাড়ি। ফাটল ধরেছে বেশ কয়েকটিতে। জামুড়িয়ার নন্ডী গ্রাম লাগোয়া এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির মধ্যে শনিবার ত্রিপল বিলি করল প্রশাসন। এ দিনই বম্ব স্কোয়াড এবং সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞেরা এসে ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যান।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানা খনিতে বিস্ফোরক সরবরাহ হয় ওই গুদাম থেকে। শুক্রবার দুপুরে ওই ঘরের পাশে একটি গাছে বজ্রপাত হয়। তার তীব্রতায় গুদামঘরে আগুন লেগে যায়। ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা ঘরটি। সেটির দেওয়ালের পাথর ছিটকে আহত হন হুরমাডাঙার বাদল সোরেন নামে এক জন। তাঁকে এ দিন সকালে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় বেশ কিছু গবাদি পশুও আহত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে হুরমাডাঙা আদিবাসী পাড়ার শ’খানেক বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ওই পাড়ার বাসিন্দা মোহন সোরেনের বাড়ির কংক্রিটের ছাদ ও দেওয়াল, মকসা ভুঁইয়ার বাড়ির টালির চালে ফাটল ধরেছে। তাঁরা জানান, পাশাপাশি প্রতিটি বাড়িরই ছাদ, দেওয়াল বা অন্য নানা অংশ ফেটে গিয়েছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। ঘটনার পরে সে দিন বিকেলে হুরমাডাঙায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। এডিসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ ঘোষ ও প্রশাসনের কর্তারা সেখানে গিয়ে বাসিন্দাদের দাবি মতো আহতের চিকিৎসার খরচ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে।
আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস জানান, শনিবার এলাকার ৯৫টি পরিবারে হাতে আপাতত ত্রিপল তুলে দেওয়া হয়েছে। এডিসিপি (সেন্ট্রাল) জানান, শনিবার সকালে কলকাতা থেকে বম্ব স্কোয়াডের প্রতিনিধি দল এসে ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে থাকা বিস্ফোরক (ডিটোনেটর) নিষ্ক্রিয় করেছে। নাগপুর থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্লোসিভের দফতর এবং সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে প্রতিনিধিরাও এসেছিলেন এ দিন। কেন এমন ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখছেন তাঁরা। গুদামঘরটির মালিক সৈয়দ আমির জানান, তদন্ত চলাকালীন তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy