Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিস্ফোরণে তৃণমূল যোগ, দাবি সিপিএমের

তৃণমূলের গোষ্ঠী লড়াইয়ে রসদ জোগাতেই বোমা বাঁধছিলেন আউশগ্রামের জখম তিন জন— এমনই দাবি করলেন সিপিএম নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটেই জখম হয়েছেন ওই তিন জন। শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ওই তিন জনও দাবি করেন, তাঁরা তৃণমূল সমর্থক। যদিও তৃণমূল ঘটনার সঙ্গে যোগ অস্বীকার করে

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৫ ০১:৫৩
Share: Save:

তৃণমূলের গোষ্ঠী লড়াইয়ে রসদ জোগাতেই বোমা বাঁধছিলেন আউশগ্রামের জখম তিন জন— এমনই দাবি করলেন সিপিএম নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, বোমা বাঁধতে গিয়ে তা ফেটেই জখম হয়েছেন ওই তিন জন। শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ওই তিন জনও দাবি করেন, তাঁরা তৃণমূল সমর্থক। যদিও তৃণমূল ঘটনার সঙ্গে যোগ অস্বীকার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ আউশগ্রামের দিয়াশা গ্রামের বিজয় রায় নামে এক জনের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন, পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। উড়ে গিয়েছে বাড়ির অ্যাসবেস্টসের চাল। তাঁরাই বাড়ির ভেতর থেকে আধপোড়া অবস্থায় তিন জনকে টেনে বের করেন। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাদের। স্থানীয় বাসিন্দা দেবদুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘মাঠ থেকে বাড়ি ফিরেই জোর আওয়াজ পাই। গিয়ে দেখি আগুন ও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তিন জন ভেতরে পুড়ে গিয়েছে।’’ বিস্ফোরণে কিছু গবাদি পশুর প্রাণ গিয়েছে বলেও তাঁর দাবি। তবে জখমদের পরিচয় বলতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, কিছুদিন ধরেই গাড়ি করে কিছু লোক যাতায়াত করত ওই বাড়িতে। তবে বোমা বাঁধা বা বিক্রি চলত কি না বলতে পারেননি তাঁরা। আউশগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা বহিরাগত। ওই বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ করত তারা।

সিপিএমের প্রাক্তন জোনাল কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য মজুমদারের অভিযোগ, ওই গ্রামে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর লোকেরা বোমা বাঁধছিল। অসর্তকতায় বোমা ফেটে যায়। অচিন্ত্যবাবুর দাবি, ‘‘তৃণমূলের এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য বোমা বাঁধছিল না কি আমাদের দলের লোককে বোমা মারতো তা স্পষ্ট নয়।’’ ওই দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য এবং আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ সালেকের অনুগামী বলেও তাঁর দাবি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে জখম লালন মল্লিক, রতন শেখ ও শেখ মুকুল বেশি কথা বলার মতো অবস্থায় না থাকলেও কোনও রকমে জানান, তাঁরা তিন জনেই তৃণমূলের সমর্থক। ওখানে বোমা বাঁধার কাজ করতেন। যদিও শেখ সালাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডুর দাবি, সবাই এখন তৃণমূল বলে নিজের পরিচয় দিচ্ছে। খারাপ কিছু হলেই তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দিচ্ছে। এটা সমাজবিরোধী দুষ্কৃতীদের ঘটনা। তাঁর দাবি, ‘‘এই ঘটনার সাথে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যাঁর বাড়িতে বোমা ফেটেছিল সেই বিজয় রায়, তাঁর ছেলে ঘুপুর রায় ও দামোদর রায় এলাকায় তৃণমূলের সমর্থক বলেই পরিচিত। ঘটনার পর থেকেই গ্রামছাড়া তারা। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির মালিক ও তার ছেলেদের খোঁজা হচ্ছে। অশান্তি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE