Advertisement
১১ মে ২০২৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় জনমত গড়ুন

তৃণমূলের ভোট প্রচারের তোরণের ৫০ মিটারের মধ্যে দলের ফ্লেক্স দিয়ে গেট করতে হবে। কেউ তোরণ ভেঙে দিলে ছবি নিয়ে সোজা থানায় যেতে হবে, প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডি়য়ায় তা নিয়ে জনমত গড়তে হবে— বিধানসভা ভোটের আগে দলের নেতা-কর্মীদের এমনই টোটকা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সিদ্ধার্থনাথ সিংহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:৫৫
Share: Save:

তৃণমূলের ভোট প্রচারের তোরণের ৫০ মিটারের মধ্যে দলের ফ্লেক্স দিয়ে গেট করতে হবে। কেউ তোরণ ভেঙে দিলে ছবি নিয়ে সোজা থানায় যেতে হবে, প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডি়য়ায় তা নিয়ে জনমত গড়তে হবে— বিধানসভা ভোটের আগে দলের নেতা-কর্মীদের এমনই টোটকা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সিদ্ধার্থনাথ সিংহ।

শুক্রবার কালনার পান্থনীড় ভবনে বর্ধমান পূর্ব এলাকার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সরকারও। সেখানেই ভোটের আগের তিন মাস কী করতে হবে, কার্যত তার ছক কষে দেন তাঁরা। কর্মীদের যে কোনও বিষয় নিয়ে জনমত গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। জয়ের খিদে বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে নেতারা জানান, এলাকায় অন্তত তিনটে দেওয়াল লিখন করতে হবে। তৃণমূল প্রচারে বাধা দিলে, তোরণ, ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিলে ছবি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে যেতে হবে। প্রয়োজনে মিডিয়া ও আইনি শাখা খুলে জনমত গড়তে হবে বলেও নেতাদের দাবি। বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি, নেতারা যখন এ সব বার্তা দিচ্ছেন, তখন কিছু কর্মী ভোটের খরচ নিয়েও ফিসফাস শুরু করেন। নেতারা অবশ্য তাঁদের আশ্বস্ত করে জানান, টাকার অভাব হবে না। ধাপে ধাপে এক কোটি টাকা দলীয় পতাকা পাঠানো হবে বলেও তাঁদের দাবি। যদিও বিজেপির বার্তা শুনে সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটির সদস্য স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক তলানিতে। মুখে যাই বলুক শাসকদলের সাহায্যই করতে চায় ওরা।’’ আবার তৃণমূলের পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগের কথায়, ‘‘যে নেতাকেই এনে বৈঠক করুক, যে ধরনের কর্মসূচিই নিক, কোনও লাভ হবে না বিজপির।’’

লোকসভা ভোটের পরে কিছুদিন পর থেকেই নানা কারণে বিজেপি নেতাদের দ্বন্দ্ব দেখা গিয়েছিল কালনায়। একে অন্যের অনুষ্ঠানে না যাওয়া থেকে অন্য দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠেছিল। নগর মণ্ডল পদের সভাপতি হিসেবেও দু’জন দাবিদারকে দেখা যায়। শুক্রবারও কয়েকজন নেতা দাবি করেন তাঁদের সিদ্ধার্থনাথের বৈঠকে ডাকা হয়নি। তবে ওই রাজ্য নেতার দাবি, ‘‘অভ্যন্তরীণ লড়াই তৃণমূলে রয়েছে। আমাদের দলে গোষ্ঠী কলহের ব্যাপার নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE