Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

নাতি বাড়ি ফিরুক, চাইছেন ঠাকুমা

তার পরে থেকেই নাতি কেমন আছে, সে খবর পাননি বলে জানান ঠাকুমা। তবে তাঁর কথায়, ‘‘নাতির বন্ধুরা জানিয়েছে, ও ভাল আছে আপাতত। হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দিয়েছে।’’

শোকার্ত পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র

শোকার্ত পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৮ ০২:০৩
Share: Save:

নাতি কবে ফিরবে, বারবার পরিচিতদের এ প্রশ্নই জিজ্ঞাসা করছেন বৃদ্ধা কল্যাণী পাল। তিনি ছত্তীসগঢ়ে নয়া রায়পুরে আক্রান্ত ইঞ্জিনিয়ার অলঙ্কার পালের ঠাকুমা।

অলঙ্কারের দোতলা বাড়িটি রয়েছে শহরের নিচুজাপট এলাকার পুকুর পাড়ে। সোমবার ঘটনার কথা চাউর হওয়ার পরে সেখানে কড়া নাড়লে বেরিয়ে আসেন কল্যাণীদেবী। তিনি জানান, ঘটনার কথা জানতে পেরেই রবিবার বিকেলে ছত্তীসগঢ় চলে গিয়েছেন অলঙ্কারের মা সুমিতাদেবী ও বাবা অজিতবাবু। তার পরে থেকেই নাতি কেমন আছে, সে খবর পাননি বলে জানান ঠাকুমা। তবে তাঁর কথায়, ‘‘নাতির বন্ধুরা জানিয়েছে, ও ভাল আছে আপাতত। হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দিয়েছে।’’ কল্যাণীদেবী জানান, অলঙ্কার শেষ বাড়ি এসেছিল গত ১২ ফেব্রুয়ারি। আচমকা ঘটনার কথা শুনে গোটা পরিবারেই উৎকণ্ঠার পরিবেশ তৈরি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অলঙ্কার বি-টেক পড়ছিলেন বৈঁচির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে। এ বার তাঁরও চতুর্থ বর্ষ। কর্মজীবনে অভিজ্ঞতা অর্জন করতেই ছত্তীসগঢ়ে চাকরি নিয়েছিলেন। এর আগে তিনি ভোপালেও কাজ করেছেন। স্থানীয় বধূ পূর্ণিমা পাল বলেন, ‘‘ও খুব ভাল ছেলে। কী যে হল বুঝতে পারছি না।’’ অলঙ্কারের কাকা জয়দেববাবুর আক্ষেপ, ‘‘ঘটনার রাতে দুষ্কৃতীরা প্রথমে ভাইপোর মুখে মারে। তুহিনকে বাঁচানোরও চেষ্টা করে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Alankar Pal Grandmother Engineer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE