কোথাও ঘরের অভাবে অন্যের বাড়িতে চলে পড়াশোনা, কোথাও পলেস্তরা খসে যাওয়া ঘরে কোনও রকমে চলে রান্না। কাটোয়া মহকুমার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো নিয়ে এমনই নানা অভিযোগ রয়েছে। এ বার সেই সমস্যার সমাধানে সংস্কারে উদ্যোগী হল প্রশাসন। শুধু তাই নয়, শিশুদের পড়াশোনার মানোন্নয়নের জন্যও বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হবে বলে দাবি মহকুমা প্রশাসনের।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর ও একশো দিনের প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলকোটে ৩৪টি, কাটোয়া ২-এ ২৩টি, কাটোয়া ১ ও কেতুগ্রাম ২-এ ১৪টি করে, কেতুগ্রাম ১-এ ১৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংস্কার হবে। প্রতিটি কেন্দ্র মেরামতির জন্য খরচ ধরা হয়েছে, ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক দু’লাখ টাকা দেবে। তবে এ পর্যন্ত সবকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি বলে দাবি বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।
প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই মঙ্গলকটের বাবলাডিহি, বলরামপুর ও নতুনগ্রাম, কাটোয়া ২-র চারটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কেতুগ্রাম ২-র সীতাহাটিতে দু’টি ও নৈহাটির একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের পথে। সংস্কারের কাজ চলায় মাস দুয়েক ধরে স্থানীয় কারও বাড়িতে বা ক্লাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রতি দিনের কাজকর্ম চলছে। বিডিও (কেতুগ্রাম ২) অর্ণব সাহার দাবি, ‘‘কাজ চলছে। পুজোর আগেই ওই কেন্দ্রগুলির উদ্বোধন হয়ে যাবে।’’
সংস্কারের পাশাপাশি আরও নানা ধরনের শিক্ষা সরঞ্জাম দিয়েও কেন্দ্রগুলি সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় মহকুমা প্রশাসন। কী সেই পরিকল্পনা? মেঝেতে ছবি এঁকে অক্ষর ও সংখ্যা চেনানো, দেওয়ালে পশু-পাখি, তারামণ্ডলের ছবি এঁকে পঠনপাঠনকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে বলে জানান মহকুমাশাসক (কাটোয়া) সৌমেন পাল। কেন্দ্রগুলির সামনে খেলার জন্য সিঁড়ি, দোলনা বসানো যায় কি না, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে দাবি।
মহকুমাশাসক সৌমেন পাল বলেন, ‘‘কোন কেন্দ্রে কী রকম জায়গা রয়েছে, তা দেখে আধুনিকীকরণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy