কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পুরস্কার বিতরণ। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসকদের কাজের স্বীকৃতি দিতে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাতে উদ্যমী চিকিৎসকেরা আরও ভাল কাজ করার উৎসাহ পাবেন, মনে করছেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। সেই একই ভাবনায় হেঁটে হাসপাতালের নানা কাজে নিযুক্ত কর্মীদের পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিভাগ ও ব্যক্তি— দুই স্তরেই পুরস্কার দেওয়া হল সোমবার।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় কাটোয়া হাসপাতালই প্রথম এমন উদ্যোগী হল। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রের ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর অন্তর্গত স্বাস্থ্য বিভাগের ‘কায়াকল্প’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে কর্মীদের উৎসাহ দিতে পুরস্কার দেওয়া হল। বছরখানেক আগে এই হাসপাতালের ডাক্তারদের কাজের ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগ থেকে দু’জন ডাক্তারকে পুরষ্কৃত করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তবে স্বচ্ছতার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের পুরষ্কৃত করার উদ্যোগ এ বারই প্রথম এই হাসপাতালে।
হাজিরা, রোগী ও সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যবহার, রেকর্ড বজায় রাখা, ওয়ার্ড দেখভাল, রোগীদের সন্তোষ ও নিয়ম মানার দক্ষতার উপরে ভিত্তি করে কর্মীদের পুরস্কারের জন্য বেছে নেয় হাসপাতালের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি। সেই কমিটিতে রয়েছেন সহকারী সুপার, নার্সিং সুপার, দু’জন ফেসিলিটি ম্যানেজার ও এক জন আপার ডিভিশন ক্লার্ক। রোগী ভর্তি বিভাগে প্রথম হয়েছে মহিলা বিভাগ, দ্বিতীয় স্ত্রীরোগ চিকিৎসা বিভাগ ও তৃতীয় এসএনসিইউ। রোগী পরিষেবা বিভাগে প্রথম আপতকালীন বিভাগ। ব্লাড ব্যাঙ্ক দ্বিতীয় ও অস্ত্রোপচার বিভাগ তৃতীয় হয়েছে। এ ছাড়াও পুরস্কৃত করা হয় চতুর্থ শ্রেণির সাত জন কর্মী, ছ’জন ঝাড়ুদার এবং এসএনসিইউ বিভাগের দু’জন কর্মবন্ধুকে। তাঁদের মধ্যে ঝাড়ুদার ও কর্মবন্ধুরা চুক্তিভিত্তিক কর্মী।
হাসপাতালের সুপার রতন শাসমল বলেন, ‘‘যাঁরা হাসপাতাল সাফ করেন, পরিচ্ছন্ন রাখতে সাহায্য করেন তাঁদের কাজে আগ্রহ বাড়াতেই এই উদ্যোগ।’’ ১৫ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যকর্তাদের পরিদর্শন আসার কথা। সে জন্য হাসপাতালকে ঢেলে সাজা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতার দিকটিও সে জন্যই খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। এই পুরস্কার তাঁদের প্রতিদিনের কাজে উৎসাহ জোগাবে, জানান চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সমীর দে, উৎপল সাহা, ঝাড়ুদার গৌরী ডোমদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy