প্রতীকী ছবি।
এলাকায় বোমাবাজির প্রতিবাদে সন্ধ্যায় থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সিপিএম। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ফের বোমাবাজি হল দুর্গাপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রতিবাদে বুধবার মহকুমা রিটার্নিং আধিকারিকের দফতরে স্মারকলিপি দিল সিপিএম। দলের নেতাদের দাবি, হেরে যাওয়ার আশঙ্কাতেই এলাকায় আতঙ্ক তৈরির জন্য বারবার এই ওয়ার্ডে বোমা-গুলি ছুড়ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগ মানতে চায়নি।
দিন কয়েক আগে এক রাতে ওই ওয়ার্ডের এমএএমসি বি-২ বাজারের কাছে সিপিএম প্রার্থী ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের বাড়ির সামনে দুষ্কৃতীরা গুলি ছুড়ে পালায়। মঙ্গলবার দুপুরে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে চড়ে এসে তাঁর বাড়ির সামনে এবং এলাকার আরও দু’জায়গায় বোমা ছোড়ে। তার পরেই এলাকায় শান্তি ফেরানোর দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। ব্যবস্থা হয় পুলিশি টহলের।
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত সওয়া ২টো নাগাদ সিপিএম সমর্থক সুকুমার বাউড়ির বাড়ির সামনে বোমা পড়ে। আশপাশের বাসিন্দারা জানলা দিয়ে দেখেন, আশপাশে ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। টহলদার পুলিশের জিপ পৌঁছনোর আগেই দুষ্কৃতীরা পালায়। বারবার এমন ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বাসিন্দারা জানান, ভোটের জন্য এমন পরিবেশ আগে কখনও তৈরি হয়নি। পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
পুরসভার এই ওয়ার্ড বরাবর সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। গত পুরভোটেও এখানে সিপিএম জেতে। এ বার এখানে তৃণমূলের প্রার্থী আইনজীবী দেবব্রত সাঁই। ওয়ার্ডে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে এক নেতাকে অন্য ওয়ার্ডে প্রচারের দায়িত্বে পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সিপিএমের দাবি, তার পরেও তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে তেমন সাড়া নেই। তাই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে শাসক দল।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের বক্তব্য, ‘‘দেবব্রতবাবু এর আগে বারবার হেরেছেন। তাই এ বার মরিয়া হয়ে এই সব কাণ্ড করাচ্ছেন।’’ তৃণমূল প্রার্থী দেবব্রতবাবুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সিপিএম আমার বদনাম করার জন্য চক্রান্ত করে এ সব করছে। যারা এলাকা অশান্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy