Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তিন দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করল বর্ধমান হাই মাদ্রাসা। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান চলে রবিবার অবধি। ছিল পদযাত্রা, আলোচনাচক্র, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। সমগ্র অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় শনিবার। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংখ্যলঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তাঁর পরামর্শ, “মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার প্রতি শিক্ষকদের যত্নবান হতে হবে।’’

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৩৮
Share: Save:

হাই মাদ্রাসাকে সাহায্যের আশ্বাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান

৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তিন দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করল বর্ধমান হাই মাদ্রাসা। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান চলে রবিবার অবধি। ছিল পদযাত্রা, আলোচনাচক্র, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। সমগ্র অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় শনিবার। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংখ্যলঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তাঁর পরামর্শ, “মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার প্রতি শিক্ষকদের যত্নবান হতে হবে।’’ তিনি জানান, ৫০ শতাংশ নম্বর পাওয়া পড়ুয়াদের বিশেষ বৃত্তি দেওয়া হবে। এছাড়াও দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থ সাহায্যের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সচিব সৈয়দ নুরুস্সালাম। তাঁর দাবি, ১০০ নম্বরের অতিরিক্ত ভাষা শিক্ষা ছাড়া বাংলা মাধ্যমের অন্যান্য স্কুলগুলির সঙ্গে মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমের পার্থক্য খুব কম। মাদ্রাস সচিবের ক্ষোভ, ‘‘মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীর কোথাও কোথাও ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। পড়ুয়াদের পড়াশোনায় আরও উত্‌কর্ষতা বাড়াতে হবে।” বর্ধমান হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুন্সি রফিকুল ইসলাম ও পরিচালন কমিটির সম্পাদক শেখ মহম্মদ ফারুক মাদ্রাসার পুরনো ভবনের সংস্কার, নিজস্ব মাঠ ও কমিউনিটি হলের দাবি করেন। মন্ত্রীর সামনে তাঁরা জানান, এই হাই মাদ্রাসায় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিজ্ঞান ও কলা বিভাগ থাকলেও বানিজ্য বিভাগ নেই। বৃত্তিমূলক বিভাগে প্রচুর ছাত্রছাত্রী ভর্তি হলেও শিক্ষকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম। মন্ত্রীর আশ্বাস, “মাদ্রাসা ভবন সংস্কারের জন্য ৪ লাখ এবং কমিউনিটি হল ও মাঠ সংস্কারের জন্য ১০ লাখ টাকা অর্থ দেওয়া হবে।’’

পাশে বোমা-গুলি, তবু শান্ত দাঁইহাট
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া

রবিবার দাঁইহাটে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল করল কংগ্রেস। —নিজস্ব চিত্র।

পাশের শহরে সকাল থেকেই চলছে বোমাবাজি, গুলি, বুথ দখল। একের পর এক অভিযোগে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে নিবার্চন কমিশন। অথচ দাঁইহাট দেখল অন্য ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ঘটনা ছাড়া ১৪টি ওয়ার্ডের ২০টি বুথের আর কোথাও কোনও গোলমালের অভিযোগ মেলেনি। সারা দিনে ভোট পড়েছে ৮৮ শতাংশ। সকাল থেকেই রোদ উপেক্ষা করে বুথে বুথে লাইন দেন শহরবাসী। পুলিশকর্মীরা কার্যত লাঠি হাতে গাছের ছায়ায় চুপচাপ বসেছিলেন। অনেক বুথে চার প্রার্থী একসঙ্গে বসে চা-জলখাবারও খান। তৃণমূলের এক প্রার্থী সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘‘ভাল ভাবে ভোট হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন। তবে এর মাঝেই একটা অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, তৃণমূলের লোকেরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ঢের একটি বুথে ঢুকে ভাঙচুর, মারধর করে। আধ ঘণ্টা মতো ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। তাদের পাল্টা মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে শাসকদলও। প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য রাধারনাথ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘৪ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বহিরাদরদের এনে গোলমাল করার চেষ্টা করে শাসকদল। ছাপ্পা ভোট দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। তবে আমাদের কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করলে পিছোতে বাধ্য হয় ওরা।’’ সিপিএমের প্রাক্তন পুরপ্রধান বিদ্যুৎ ভক্তেরও দাবি, ‘‘তৃণমূল সন্ত্রাসের চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষ রাস্তায নেমে প্রতিবাদ করেন। তাছাড়া কোনও বড় গোলমাল হয়নি।’’ পরে রবিবার দাঁইহাটে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল করে কংগ্রেস।

ঠিকাদার খুনে ধৃত দুর্গাপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর

বাড়িতে ঢুকে ঠিকাদার খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে বিহার থেকে গ্রেফতার করল নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বিজয় কুমার বিহারের কৈমুর জেলার বাসিন্দা। রবিবার বিজয়কে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধৃতকে জেরা করে ওই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদেরও হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বিধাননগর এলাকার ইস্পাতপল্লির একটি বাড়িতে খুন হন বিভিন্ন বেসরকারি কারখানায় শ্রমিক সরবরাহকারি ঠিকাদার রামদেও বেদা (৪৫)। আসলে গুজরাটের বাসিন্দা রামদেওবাবু বেশ কয়েকবছর ধরে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁর সঙ্গেই থাকতেন মদনলাল নামে গুজরাতেরই আরও এক ব্যক্তি। দুষ্কৃতীরা প্রথমে হামলা চালায় মদনবাবুর উপর। পরে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় রামদেওবাবুকে। ওই ঘটনায় মদনলালবাবু গুরুতর জখম হন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকেই বিজয় কুমার নামে ওই ব্যক্তির ভোটার কার্ড মেলে। পুলিশ জানায়, বিজয়ও ঠিকা শ্রমিক। রামদেওবাবুর সঙ্গে তার যোগাযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুরস্কার বিতরণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর

সম্প্রতি সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে দুর্গাপুরের বিধাননগর এলাকার একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়ে গেল। অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্কুলের পড়ুয়ারা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত কৃতী পড়ুয়াদের বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবাদ মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর

পুর নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে শাসক দলের সন্ত্রাসের অভিযোগে রবিবার বিকেলে দুর্গাপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করল বিজেপি। এসবি মোড় থেকে শুরু হয়ে স্টেশন বাজার, গ্যামনব্রিজ হয়ে দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ডে শেষ হয় মিছিলটি। বিজেপি নেতা কল্যাণ দুবের অভিযোগ, ‘‘ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। পথে নেমে তাই প্রতিবাদ জানানো হল।’’

বর্ষবরণে অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করল আসানসোল সাহিত্যপ্রেমী লেখক কবি সমাবেশ। শনিবার অনুষ্ঠানটি হয় আসানসোল পুরনো আশ্রম মোড়ে ট্রিনিটি ট্রাস্ট সভাগৃহে। উদ্যোক্তারা জানান, অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।

শিক্ষকের বদলি রুখতে আবেদন

সিধো-কানহো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক শম্ভুনাথ মাইতির বদলি রোখার দাবিতে দুই শতাধিক পড়ুয়া কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিলেন। শিক্ষক শম্ভুনাথ মাইতি এই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বর্ধমানে চলে যাচ্ছেন। শম্ভুনাথবাবু বলেন, ‘‘বর্ধমানে যোগ দিলে আমার পদোন্নতি হবে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের এই আবেদনের পরে আমি কী করব ঠিক করে উঠতে পারছি না।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা আমাদের কাছে ওই শিক্ষক যাতে এখানে থাকেন সেই আবেদন জানিয়েছে। আর শম্ভুনাথবাবুও তাঁর আবেদন জমা দিয়েছেন। দু’টি আবেদন নিয়েই আলোচনা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE