বিলগ্নিকরণ করা যাবে না, এই দাবিতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা দুর্গাপুর অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের (এএসপি) গেটে টানা কয়েক ঘণ্টা অবস্থান-বিক্ষোভ করল সিটু এবং আইএনটিইউসি।
বিশেষ ধরনের মিশ্র ইস্পাত উৎপাদন হয় এএসপি-তে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নানা কাজে লাগে সেই ইস্পাত। কিন্তু লাগাতার লোকসানে চলা এই কারখানার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার অলাভজনক সংস্থা চালানোর ব্যাপারে আর উৎসাহী নয় বলে জানিয়েছে। ভদ্রাবতী, সালেমের ইস্পাত কারখানা এবং দুর্গাপুরের এএসপি কারখানার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত আর্থিক বিষয়ক (ইকোনমিক অ্যাফেসার্স) ক্যাবিনেট কমিটি অনুমোদন করেছে। সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গত বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি প্রথমে সিটু বিক্ষোভ-কর্মসূচি পালন করে। ডিসেম্বরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আইএনটিইউসি। পরে আলাদা ভাবে আইএনটিটিইউসি-ও আন্দোলনে নামে। ইতিমধ্যে দিল্লিতে গিয়ে সিটু এবং আইএনটিইউসি নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে এসেছেন।
সম্প্রতি কারখানার মূল্য নির্ধারণের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে কর্মী সংগঠনগুলির দাবি। বুধবার রাতের শিফটের কর্মীরা বাড়ি ফেরেননি। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তাঁরা কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকালের শিফটের কর্মীদের অনেকেই কাজে এসে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। খবর পেয়ে সিআইএসএফ এবং পুলিশ পৌঁছয়।
সিটুর জেলা সভাপতি বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সবাই একযোগে এ দিনের আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে কারখানা বাঁচানোর স্বার্থে সবাই একজোট হয়ে লড়ছেন।’’ আইএনটিইউসি নেতা বিকাশ ঘটক বলেন, ‘‘যে কোনও মূল্যে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করাতে হবে। দুর্গাপুরের অর্থনীতিতে এএসপি-র গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। কারখানা বাঁচাতে আমরা লড়ে যাব।’’
এ দিন আন্দোলনে বেশ কিছু আইএনটিটিইউসি কর্মী-সমর্থকদেরও সামিল হতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি সিটু এবং আইএনটিইউসি-র। যদিও আইএনটিটিইউসি নেতা অশোক কুণ্ডু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা নিজেরাই সর্বাত্মক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy