বেঘোরে: বের করা হচ্ছে চালকের দেহ, উল্লাস মোড়ে। —নিজস্ব চিত্র।
শহরের ভিতর ঢোকার জন্য সবে বাঁক নিয়েছে সারবোঝাই ট্রাকটি। সেই সময় সিগন্যাল লাল হয়ে যায়। জোরে ব্রেক কষে গাড়ি দাঁড় করান চালক। তখনই পিছনে থাকা কলকাতামুখী একটি ম্যাটাডর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ট্রাকটিকে। ম্যাটাডরের সামনের অংশ চেপ্টে ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক।
বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর উল্লাস মোড়ের ওই দুর্ঘটনায় মৃত চালকের নাম রিজাউদ্দিন শেখ (৩৮)। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাসিন্দা তিনি। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম আরও তিন জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছের। অসমের ধুবরি জেলার প্রবীরগঞ্জের বাসিন্দা তাঁরা।
মঙ্গলবার রাতেও রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শুকদের মারুইয়ের (৫৮) বাড়ি ঘটনাস্থলের কাছে তেজগঞ্জে।
এ দিনের ঘটনায় আহত মইদুল ইসলাম, মোবারক আলি ও রফিকুল শেখ পাটের তৈরি দোলনা বিভিন্ন মেলা, অনুষ্ঠানে বিক্রি করেন। এ দিন ভোরে দুটি বস্তায় পাটের দোলনা নিয়ে মালদহ থেকে ম্যাটাডরটি ভাড়া করেছিলেন তাঁরা। হাসপাতাল থেকে তাঁদের দাবি, “আমরা খড়্গপুর যাচ্ছিলাম। ম্যাটাডরের পিছনে শুয়েছিলাম। বেশ জোরেই গাড়িটা যাচ্ছিল। হঠাৎ করে জোরে আওয়াজ হয়। তারপরেই গাড়িটা দুলতে থাকে। আমরা পড়ে না গেলেও আঘাত পেয়েছি।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আসানসোলের দিক থেকে সারবোঝাই ট্রাকটি বর্ধমান শহরের দিকে ঢুকতে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্লাস মোড়ে সিগন্যাল লাল হতেই পিছন দিক থেকে ম্যাটাডরটি ধাক্কা মারে। প্রত্যক্ষদর্শী নাজির আহমেদ জানান, ম্যাটাডরটি প্রচন্ড গতিতে ছিল। সিগন্যালের জন্য সামনের গাড়ি দাঁড়িয়ে গিয়েছে, চালক সেটা খেয়াল করেনি বলেই বিপত্তি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, এতটাই জোরে ধাক্কা লাগে যে ম্যাটাডরের সামনের অংশ দুমড়ে গিয়েছে। চালকও কার্যত পিষে যান। পরে গ্যাস কাটার দিয়ে ম্যাটাডরের সামনের অংশ কেটে চালকের দেহ বের করতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy