এই নির্মাণ ঘিরেই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
নদী বাঁধের বোল্ডার সরিয়ে সেই জায়গায় অবৈধ নির্মাণ তোলার অভিযোগ উঠল তিন জনের বিরুদ্ধে। কাটোয়ার খাসপুরের ঘটনা। গ্রামবাসীরা ওই তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দ্বারস্থ হন মহকুমাশাসকেরও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজিপুর পঞ্চায়েতের খাসপুর গ্রাম দিয়ে বয়ে গিয়েছে ব্রহ্মাণী নদী। খাসপুর ফুটবল ময়দান থেকে ঠাকুরবটতলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার একটি বাঁধ রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় ফুটবল ময়দান লাগোয়া ৬৬ শতক এলাকা দখল করে নির্মাণকাজ চালাচ্ছেন অশোক ঘোষ, বিকাশ সূত্রধর ও মহাদেব দাস নামে তিন জন। স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত মণ্ডল, সব্যসাচী মণ্ডলদের অভিযোগ, ‘‘ইতিমধ্যেই ১৩ শতক জায়গা পুরোপুরি দখল করে বাস করছেন ওই তিন জন। বাকি জায়গায় সপ্তাহ খানেক আগে দোকানঘর তৈরি শুরু করা হয়েছে।’’
বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামে এমনিতেই ফি বছর বন্যা হয়। ব্রহ্মাণীর জল উপচে ভেসে যায় ফুটবল ময়দান ও লাগোয়া এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দা অসীম ঘোষ, বাপি মণ্ডলদের অভিযোগ, ‘‘প্রায় দু’হাজার বোল্ডার সরিয়ে অবৈধ ভাবে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। নির্মাণ এখনই বন্ধ না হলে বর্ষায় বাঁধ ভেঙে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে।’’ বাঁধ ভাঙলে খাসপুর, দেয়াসিন, মালঞ্চা প্রভৃতি গ্রাম ভেসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে মহাদেব দাস বলেন, ‘‘ওই ৬৬ শতক জায়গা আমাদের তিন জনের। ১৯৮৪ সালে জায়গা কিনেছিলাম।’’ প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে রবিবার মহকুমাশাসক এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিডিও-র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাঠান। বিডিও শিবাশিস সরকার বলেন, ‘‘ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং সেচ দফতরের কর্তারাও দ্রুত পরিদর্শনে যাবেন। ওনারা না যাওয়া পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy