Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী

জেলা জুড়ে ডেঙ্গি রোধে তৎপরতা

জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চলতি মাসেই জেলায় আসতে পারেন বলে শুনেছি। তবে চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি।’’ চূড়ান্ত জানা না গেলেও প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে প্রশাসন।

বর্ধমান শহরে অভিযান। নিজস্ব চিত্র

বর্ধমান শহরে অভিযান। নিজস্ব চিত্র

কেদারনাথ ভট্টাচার্য
কালনা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৮ ০১:৫৭
Share: Save:

ডেঙ্গি রোখার ব্যাপারে পঞ্চায়েত দফতরের ভূমিকা নিয়ে মাসখানেক আগে নদিয়ায় এক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, শীঘ্রই তিনি আসতে পারেন পূর্ব বর্ধমানে বৈঠক করতে। তার আগে ডেঙ্গি নিয়ে ব্যবস্থায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। রবিবার জেলা জুড়ে চলল অভিযান।

জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চলতি মাসেই জেলায় আসতে পারেন বলে শুনেছি। তবে চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি।’’ চূড়ান্ত জানা না গেলেও প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে প্রশাসন। বৈঠক করে সরকারি প্রকল্পগুলির কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ডেঙ্গি-সহ মশাবাহিত নানা রোগের প্রকোপ রুখতে এবং মানুষকে সচেতেন করতে জোরকদমে প্রচার শুরু করা হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি, আশাকর্মী, গ্রামীণ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক সেরে ফেলেছেন জেলার বিডিও-রা। সেখানে জানানো হয়েছে, গ্রামীণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমিটিকে বছরে ১০ হাজার টাকার তহবিল দেওয়া হয়। তা থেকে গ্রামের রাস্তাঘাট-সহ নানা জায়গায় চুন, ব্লিচিং ছড়াতে হবে। কিছু ব্লক প্রশাসন বিশেষ কিছু ব্যবস্থার কথাও ভেবেছে। পূর্বস্থলী ১ ব্লকে যেমন রোগী কল্যাণ সমিতির অর্থে একটি মশা মারা কামান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মশাবাহিত রোগের প্রকোপ রুখতে রবিবার জেলা জুড়ে প্রচার চালানো হয়। বর্ধমান শহর থেকে মেমারি, কালনা, কাটোয়া গলসি, আউশগ্রাম— সর্বত্রই এলাকার স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধিরা রাস্তায় নামেন। নানা জায়গায় সামিল হন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরাও। ব্লিচিং ছড়ানো, নর্দমা পরিষ্কার, ওষুধ স্প্রে করা হয়। এলাকাবাসীকে সচেতন করতে পথসভা, লিফলেট বিলিও করা হয়। আধিকারিকেরা জানান, ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্কের মতো পরিস্থিতি নেই। তবে বাসিন্দাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কালনার জাপটে নর্দমা ও পুকুরে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় যাতে এ ব্যাপারে কোনও ত্রুটি না থাকে সে জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে একটি করে নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। তাতে জানিয়ে দেওয়া হবে, পঞ্চায়েত সদস্যদের সচেতনেতা ও সাফাইয়ে মজর রাখতে পাড়ায়-পাড়ায় যেতে হবে। এলাকা পরিষ্কারের কাজ করতে হবে একশো দিনের প্রকল্পে। সভাধিপতি দেবুবাবু জানান, পঞ্চায়েতগুলি নির্দেশিকা পাওয়ার পরে কেমন কাজ করছে, সে ব্যাপারে নজর রাখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE