ছয়লাপ: রয়ে গিয়ে নানা দলের পতাকা। বাঁকুড়া মোড়ে। নিজস্ব চিত্র
ভোটের পরে এক সপ্তাহ পার। ফল বেরনোর পরে কেটে গিয়েছে গোটা তিনটি দিন। অথচ, রাজনৈতিক দলগুলির ভোট-প্রচারের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, ব্যানার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েই গিয়েছে শহর জুড়ে। দেওয়াল লিখন সাফ করার কাজেও হাত পড়েনি। তৃণমূল নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছিলেন, ফল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে হোর্ডিং-ফেস্টুন-ব্যানার সব সরিয়ে ফেলা হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি, অভিযোগ শহরবাসীর।
পুরভোট ঘোষণার আগে থেকেই দেওয়াল লিখন শুরু করেছিল তৃণমূল। মনোনয়ন-পর্ব শুরু হতেই শহরের বহু জায়গা ঢাকা পড়ে যায় তৃণমূলের পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, ফ্লেক্সে। পরে আসরে নামে বাকি দলগুলি। বিজেপি-ও শহরের বেশ কিছু এলাকা ঢেকে দেয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, ফ্লেক্সে। তুলনায় বাম বা কংগ্রেস প্রচারে খানিকটি পিছিয়ে ছিল এ বার।
ভোটের এক সপ্তাহ পরে শহর ঘুরে অবশ্য সব দলেরই ব্যানার, ফ্লেক্স নজরে এসেছে। সোমবার দুর্গাপুর স্টেশন, ডিসিএল মোড়, বিওজিএল, শ্যামপুর, এমএএমসি, ভিকে নগর-সহ বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের পোস্টার, ব্যানার, পতাকা, ফ্লেক্স, ফেস্টুন চোখে পড়ে। বিধাননগর হাউসিং এলাকায় কংগ্রেসের ব্যানার, দুর্গাপুর স্টেশন, দুর্গাপুর বাজার, রায়ডাঙা, বিওজিওল-সহ নানা এলাকায় বিজেপি-র ফ্লেক্স-ফেস্টুন দেখা গিয়েছে। বাঁকুড়া মোড়-সহ কিছু এলাকায় সিপিএমের পতাকা উড়তে দেখা যায়।
ভোট মিটে যাওয়ার পরে এই সব সামগ্রী সরানোর দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলির। কিন্তু তারা তা না করায় শহরে দৃশ্যদূষণ হচ্ছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। দুর্গাপুর স্টেশন এলাকার বাসিন্দা বিমল মণ্ডলের কথায়, ‘‘রোদ-বৃষ্টিতে পোস্টার, ব্যানারগুলি নষ্ট হতে শুরু করেছে। দেখতে খারাপ লাগছে।’’ বেনাচিতির বাসিন্দা সোনালি বসু অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের এলাকা ঢেকে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রচার সামগ্রীতে। রবিবার সেগুলি সরানোর কাজ হয়েছে।’’
অন্য বার ভোট শেষ হওয়ার পরে সবার আগে প্রচার সামগ্রী পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার উদ্যোগী হতে দেখা যেত বামেদের। বিধানসভা ভোটেও তা দেখা গিয়েছিল। এ বার কেন হল না? এক সিপিএম নেতার কথায়, ‘‘ভোটের ফল এতটাই হতাশ করেছে সে সাময়িক হতোদ্যম হয়ে পড়েছেন কর্মী-সমর্থকেরা। তাই প্রচারের সামগ্রী সরানোর কাজ এখনও শেষ করা যায়নি।’’ তবে দ্রুত তা সেরে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রচার সামগ্রী সারনোর কাজ শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় ফল ঘোষণার দিনই জানান, তিন দিনের মধ্যে সব সরিয়ে ফেলা হবে। রবিবার সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। সোমবার উত্তমবাবু বলেন, ‘‘অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রচারের জিনিস সরিয়ে ফেলা হয়েছে। দু’এক জায়গায় হয়তো রয়েছে। সেগুলিও দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy