বোঝানো: বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের আলোচনা। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন পরিজনেরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের শোভাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামে। মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে রোগীর পরিবার। মহকুমাশাসকের দফতর অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
বড়জোড়ার পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামাপদ বাগদি (৬৪) ৭ জুলাই মোটরবাইকে যাওয়ার সময়ে ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় হাঁটুতে চোট পান। বড়জোড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, হাড় ভেঙে গিয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে। শ্যামাপদবাবুকে দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান পরিজনেরা। শ্যামাপদবাবুর ছেলে রোহিতবাবুর দাবি, প্রথমে ১০ জুলাই অস্ত্রোপচারের দিন ঠিক হলেও তা হয়নি। পর দিন সকালে শ্যামাপদবাবুকে খাওয়ানোর পরে অস্ত্রোপচার করার কথা জানতে পেরে তাঁরা আপত্তি জানান। তাতে পিছিয়ে আসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার হয়। রাতে অস্ত্রোপচারের জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর চিকিৎসা হয়। শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজনকে শ্যামাপদবাবু জানান, তাঁর শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। এর পরে তাঁকে আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসকেরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শ্যামাপদবাবুর মৃত্যু হয়েছে।
রোহিতবাবুর দাবি, রক্তক্ষরণের পরেও প্রয়োজনীয় রক্ত দেওয়া হয়নি শরীরে। রাতেই থানায় অভিযোগ করা হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে শনিবার সকালে মৃতের পরিজনেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে তাঁরা দেহ নিয়ে যান। যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের চিকিৎসক শশাঙ্ক কাঞ্চন বলেন, ‘‘যথাযথ অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু এর মাঝেই রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। উপযুক্ত চিকিৎসার পরেও তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy