যত্রতত্র: রাখা মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র
শিল্পাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় রয়েছে নানা সরকারি দফতর। কিন্তু আসানসোল আদালত চত্বরে নেই কোনও পার্কিং জোন। এই পরিস্থিতিতে প্রায়শই মোটরবাইক চুরি হয়ে যাচ্ছে, গাড়ি রাখা নিয়ে বচসা হচ্ছে বলে অভিযোগ আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী থেকে বাসিন্দাদের অনেকেরই।
বর্তমানে জেলা আদলত ভবন তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আদালত চত্বরেই রয়েছে পরিবহণ দফতরের অফিস, ট্রেজারি, মহকুমাশাসক, জেলা পরিষদের দফতর। তা ছা়ড়া আদালতের গা ঘেঁষে রয়েছে সংশোধানাগার, মহিলা থানা ও একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতর। এমন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পার্কিং জোন না থাকায় যেখানে সেখানে গাড়ি রাখতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
আইনজীবীরা জানান, অনেক সময়ে সেরেস্তার সামনেই মোটরবাইক রেখে দিচ্ছেন বিচারপ্রার্থী ও তাঁদের আত্মীয়রা। তার ফলে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। তা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারপ্রার্থীদের প্রায়শই বচসাও হচ্ছে। অনেক সময়ে এসবি গরাই রোডের ধারেই রাখা হয় মোটরবাইক। ফলে, ঘড়িমোড়ের কাছে মাঝে-মাঝে যানজটও হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার দিকটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রত্নপাণি মুখোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী দাবি করেন, গত এক বছরে ১২ জনেরও বেশি বিচারপ্রার্থীর মোটরবাইক চুরি গিয়েছে এই চত্বর থেকে। আদালতের সরকারি আইনজীবী বিনয় চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘দু’বছর আগে একই দিনে তিনটি মোটরবাইক চুরি যায়। প্রতিবাদে এক দিন প্রতীকী ধর্মঘটও করা হয়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’
নিউ আপার চেলিডাঙার বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষক শুভাশিস চক্রবর্তীর দাবি, মহকুমাশাসক বা পরিবহণ দফতরে একটু বেলার দিকে কাজ থাকলে মোটরবাইক রাখতে হয় বেশ খানিকটা দূরে। তাঁর আশঙ্কা, ‘‘কারও দায়িত্ব না থাকায় মনে হয়, এই বুঝি চুরি গেল মোটরবাইক।’’
আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাণী মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘প্রশাসনের বিভিন্ন মহল, এমনকী মন্ত্রীর কাছে দরবার করার পরেও পার্কিং জোন তৈরির বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’’ আসানসোলের মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরীর দাবি, ‘‘জেলা আদালত ভবন তৈরির পরে পার্কিং জোন নিয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy