দুর্গাপুরের মামরাবাজার এলাকার ঘটনায় অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী বাপি সরকারকে শনিবার দুর্গাপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ৫ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এমএএমসি এলাকার মামরাবাজার ও সুভাষপল্লির মাঝামাঝি এলাকার একটি পুকুরে মাছ চাষ করেন বাপি সরকার ও তাঁর ভাই বুড়ো সরকার। মাঝেমাঝেই মাছ চুরি যায় অভিযোগে তাঁরা পুকুরের চারিদিক লোহার তার ও মশারি দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন। অভিযোগ, ওই মাঝেমাঝে তারে বিদ্যুৎ সংযোগ করা থাকত।
পুকুরের পাশেই বাড়ি জগন্নাথ দাসের (২২)। পরিবারের দাবি, বৃষ্টিতে পুকুর উপচে জল ঢুকেছিল বাড়িতে। শুক্রবার ভোরে নালা কেটে সে জল সরানোর চেষ্টা করতে গিয়ে পুকুরের পাশে বিদ্যুতের তারে হাত লাগতে তিনি তড়িদাহত হন। জখম হন সেই সময়ে সেখানে হাজির থাকা ভোলানাথ কুণ্ডু ও কানাই বাল্মিকী নামে আরও দুই স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। জখম দু’জনকে দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা ওই ব্যবসায়ীর গুদামে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেন। দু’টি বাইক ও একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালান তাঁরা। পরিস্থিতি বুঝে বাড়িতে তালা দিয়ে সপরিবারে পালিয়ে যান ওই ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়িতেও ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাপি জোর করে পুকুরটি দখলে রেখে মাছ চাষ করছেন। এলাকার মানুষ পুকুরটি কোনও কাজে ব্যবহার করতে পারতেন না। পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপেন মাঝির দাবি, ‘‘এ ভাবে সাধারণের ব্যবহারের জন্য পুকুর ঘিরে রাখা যায় না। তা ছাড়া মাছ চুরি আটকাতে গোপনে তারে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া অমানবিক ও বেআইনি কাজ।’’
অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার বিকেলে পুলিশ বাপিকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যার ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। কেন তিনি আগে-পিছে বিবেচনা না করে এমন কাজ করতে গেলেন বা তিনি একাই এ কাজে যুক্ত না কি না তা জানতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ দিন বাপি দিবা করেছেন, ‘‘তারে কোনও ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়নি। পুকুরের পাশে মাছ চুরি রুখতে বেশকিছু আলো লাগানো হয়। সেখান থেকে কোনও ভাবে পুকুর ঘেরা তারে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে গিয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy