এ ভাবেই চলে যাতায়াত। গলসিতে তোলা নিজস্ব চিত্র।
বাসে ভিড়। তাই জিনিসপত্র নিয়ে যাত্রীদের একাংশ চড়ে বসেন বাসের ছাদে। বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, এর ফলে গলসি চৌমাথায় দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে থাকা সাবওয়েতে ধাক্কা লেগে যে কোনও সময়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনভর ওই সাবওয়ে দিয়ে গোহগ্রাম, আদ্রাহাটি, পুরাতনগ্রাম, শিড়রায়, গরম্বা, শিকারপুর প্রভৃতি এলাকার বাস চলাচল করে। অথচ এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, অধিকাংশ বাসের ছাদে যাত্রী বসে রয়েছেন। রয়েছে প্রচুর জিনিসপত্রও। সাবওয়ে ঢোকার আগে, ধাক্কা লাগার ভয়ে বাসের ছাদে থাকা যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে শুয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা আমানুল্লা মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘সাবওয়ে ঢোকার আগে বাসগুলি গতি
কমায় না।’’
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দু’জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এ ছাড়াও জখম হন দু’জন। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরেও যাত্রী বা বাসের চালক, খালাসি কারও হুঁশ ফেরেনি। বাসের ছাদে চাপেন কেন?— শুনেই এক যাত্রীর ‘যুক্তি’, ‘‘বাসে খুব ভিড় তো। আরামে যেতে বাসের মাথায় চড়া ছা়ড়া উপায় থাকে না।’’
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে বা সচেতনতা প্রচারে কোনও রকম পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি স্থানীয় প্রশাসনকে। পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনার পরে থেকে ওই এলাকায় দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। যদিও তাঁরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে দেবসেনাপতি মণ্ডলের দাবি, ‘‘ছাদে যাত্রী ও জিনিসপত্র পরিবহণ বেআইনি। নির্দিষ্ট মাপ নিয়েই সাবওয়েটি তৈরি করা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy