Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

পুনর্বাসন নিয়ে কথা বার্নপুরের বৈঠকে

এ দিন কাঁকসার সভা থেকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ ৪৫ হাজার আবাস নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৫ হাজার আবাস তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই আবাসন দফতরকে করতে বলা হয়েছে।’’

মলয় দে। নিজস্ব চিত্র

মলয় দে। নিজস্ব চিত্র

সুশান্ত বণিক
আসানসোল শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১১
Share: Save:

ধস কবলিত এলাকায় পুনর্বাসন সমস্যা মেটানো অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের। সে বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের নানা মহলে জটিলতার জেরে পুনর্বাসনের কাজ সে ভাবে এগোয়নি বলে অভিযোগ পশ্চিম বর্ধমানের ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। সোমবার কাঁকসার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই এই পুনর্বাসন প্রকল্পের কথা ফের জানান। সূত্রের খবর, এ দিন বার্নপুরের ভারতী ভবনে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নতুন জেলায় আটটি ব্লকের মধ্যে রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বারাবনি, সালানপুরের একাধিক ধস কবলিত এলাকা রয়েছে। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রক ২০০৯-এ ২৬২৯ কোটি টাকা অনুমোদন করেছিল। কিন্তু পুনর্বাসনের জায়গা চিহ্নিত করে আবাসন তৈরির দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য সরকারই। বছর দেড়েক আগে এই কাজটির দায়িত্ব বর্তায় রাজ্যের আবাসন দফতরের হাতে। সরকার ঘোষণা করেছিল প্রায় ৪৫ হাজার বাড়ি তৈরি করা হবে। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই কাজ এখনও বিশবাঁও জলে।

এ দিন কাঁকসার সভা থেকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ ৪৫ হাজার আবাস নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৫ হাজার আবাস তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই আবাসন দফতরকে করতে বলা হয়েছে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে কতদূর কী অগ্রগতি হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যসচিবও।

তবে প্রশাসনের এক কর্তার মতে, এ ক্ষেত্রে প্রধান জটিলতা দেখা গিয়েছে, জমি জোগাড় করাকে কেন্দ্র করে। এই সমস্যা মেটাকে ইসিএলের কাছেও জমি চাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে প্রশাসনের এক কর্তা জানান। ইতিমধ্যে জামুড়িয়ার বিজয়নগরে ৪২ ও বারাবনির দাসকেয়ারিতে ১৩ একর জমি চিহ্নিত হয়েছে। দ্রুত যাতে বাড়ি তৈরি হয়, চাইছেন বাসিন্দারা। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠিও বৈঠক শেষে বলেন, ‘‘পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে মুখ্যসচিব বেশ কিছু নির্দেশিকা দিয়েছেন।’’ এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা বিষয়েও এ দিন আলোচনা হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারি অনুদানও বরাদ্দ হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক।

তবে সূত্রের খবর, জেলার কিছু দফতরের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যসচিব। তবে এ বিষয়ে কোনও কর্তা প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

resettlement Burnpur Maloy Dey
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE