Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপি-র কর্মসূচিতে গোলমাল, জখম পাঁচ

তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা নিজেদের মধ্যেই অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। আমি তখন ব্লক অফিসেই ছিলাম। খবর পেয়ে অশান্তি মেটাতে গিয়েছিলাম।’’

হামলায় জখম। নিজস্ব চিত্র

হামলায় জখম। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর ও আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:২৪
Share: Save:

কোথাও এক দল লাঠি, রড হাতে তেড়ে যাচ্ছে অন্যদের দিকে। কোথাও বা পুলিশের বাধল ধস্তাধস্তি। বৃহস্পতিবার ব্লকে ব্লকে বিজেপি-র বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ ভাবেই নানা জায়গায় গোলমাল বেধেছে পশ্চিম বর্ধমানের নানা প্রান্তে।

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণে স্বজনপোষণ-সহ নানা অভিযোগে এই কর্মসূচি পালন করেছে বিজেপি। এ দিন দুপুরে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে ওই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি নেতা তথা গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী জিতেন চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, হঠাৎ কয়েক জন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক এসে জিতেনবাবু-সহ আরও কয়েক জনের উপরে রড, লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। বিজেপি-র আরও অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জিতেনবাবুর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা হয়েছে।’’ বিজেপি-র দাবি, এই হামলায় জিতেনবাবু, তাঁর স্ত্রী সোনালীদেবী-সহ মোট পাঁচ জন জখম হন। তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিজেপি-র দাবি, জিতেনবাবু বাঁ চোখের নীচে এবং বাঁ হাতে চোট পেয়েছেন। বাকিরা মাথায়, পায়ে চোট পেয়েছেন। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুজিতবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা নিজেদের মধ্যেই অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। আমি তখন ব্লক অফিসেই ছিলাম। খবর পেয়ে অশান্তি মেটাতে গিয়েছিলাম।’’

বারাবনিতে গোলমাল বাধে বিজেপি কর্মী এবং পুলিশের মধ্যে। এ দিন স্থানীয় বিবেকানন্দ পাঠাগার থেকে মিছিল করে বারবানি ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন কয়েকশো বিজেপি সমর্থক। অভিযোগ, ব্লক অফিসে ঢোকার মুখে পুলিশ ব্যারিকেড করে বাধা দেয়। তখনই গোলমাল বাধে। যদিও বিডিও (বারাবনি) অনিমেষকান্তি মান্নার দাবি, ‘‘পাঁচ বা ছ’জনের একটি প্রতিনিধি দলকে বিডিও অফিসে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ওই কয়েকশো মানুষই অফিসে ঢুকতে চান। তাই পুলিশ ব্যারিকেড করে।’’ এই ঘটনায় অবশ্য কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ জানায়। বিজেপি নেতৃত্ব স্মারকলিপিও জমা দেন।

অন্য দিকে, আসানসোলে রবীন্দ্র ভবন চত্বরে আয়োজিত একটি সভা থেকে রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্যের সর্বত্র সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য। নির্বিঘ্নে মানুষ পথেও বেরোতে পারছেন না।’’ ওই সভা থেকে গারুই নদীর সংস্কার, দূষণ রোধেরও দাবি জানানো হয়। শেষে মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেন বিজেপি নেতৃত্ব। বাবুল ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য সুরেন্দ্রনাথ লাম্বা প্রমুখ।

নানা ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনের পাল্টা দাবি, ‘‘লাউদোহায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা করছিল বিজেপি। গ্রামবাসীরাই এর প্রতিবাদ করেন। আগামী দিনেও এমনটা হলে মানুষ প্রতিবাদ করবেন। আসানসোলের সাংসদ তো কুৎসা করতেই শহরে আসেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE