প্রতীকী ছবি।
আনাজ চাষ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন পূর্বস্থলীর প্রত্যন্ত গ্রামের এক চাষি। কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে খানিক ছোটাছুটিও করতে হয়েছিল তাঁকে। অথচ রাজ্য সরকারের কৃষি দফতরেরই ‘মাটির কথা’ নামে একটি ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ রয়েছে। সেই অ্যাপকেই এ বার চাষিদের মধ্যে জনপ্রিয় করতে উদ্যোগী হল সংশ্লিষ্ট দফতর। ঠিক হয়েছে, জেলার প্রতিটি ব্লকেই চাষিদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির করা হবে।
কৃষি দফতর জানায়, অনেক সময়ে চাষিরা দেখেন, ধান বা অন্য ফসলে পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়েছে। সবসময় তাঁরা বুঝতেও পারেন না, কী ধরনের কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। আবার এলাকার মাটিতে কোন মরসুমে কী ধরনের বিকল্প চাষ করলে, সুফল মিলবে, সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা নেই অনেক চাষিরই। এই ধরনের নানা সমস্যার সমাধানে ২০১৪ সালে ‘মাটির কথা’ অ্যাপটি তৈরি করে কৃষি দফতর। ২০১৫-র ফেব্রুয়ারি থেকে তা পুরোদস্তুর চালুও হয়ে যায়। সেই সময়ের আগে কৃষি দফতরের কর্তা ও কর্মীদের একটি ট্যাব দেওয়া হয়। যাতে চাষিরা সমস্যার কথা এলাকার কৃষি প্রযুক্তি সহায়ককে জানালে তিনি ছবি তুলে পাঠিয়ে দেন ‘মাটির কথা’য়। তার পরে বিশেষজ্ঞরা চাষিদের কী করণীয়, সে বিষয়ে পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ সংশ্লিষ্ট চাষির মোবাইলে বাংলায় লেখা এসএমএস পৌঁছে যায়।
এই গোটা বিষয়িকেই চাষিদের কাছে আরও জনপ্রিয় করতেই এ বার উদ্যোগী হয়েছে কৃষি দফতর। ঠিক হয়েছে, প্রশিক্ষণে গুগল ‘প্লে-স্টোর’ থেকে অ্যাপটি কী ভাবে ডাউনলোড করতে হবে, তা জানানো হবে। এর ফলে চাষিরা নিজেরাই সরাসরি নানা সমস্যার কথা অ্যাপে দিয়ে পরামর্শ পেতে পারবেন।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ অগস্ট থেকে শুরু হবে শিবিরগুলি। ২২টি ব্লকের কোথায়, কবে শিবিরগুলি হবে, সে বিষয়ে তালিকাও তৈরি হয়েছে। শিবিরগুলিতে যোগ দেবেন স্মার্ট ফোন থাকা একশো জন করে চাষি। জেলার এক সহ কৃষি আধিকারিক পার্থ ঘোষের আশা, ‘‘চাষিরা এই অ্যাপ নিজেরা ব্যবহার করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy