কেতুগ্রাম থানা থেকে ‘আলামত’ (ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা জিনিস) তৈরি করে আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশমঙ্গলবার জেলা অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের (কাটোয়া) কাছে এই অভিযোগই জমা দিলেন তৃণমূল নেতা কৃপাসিন্ধু সাহা খুনে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।
আইনজীবী প্রসাদরঞ্জন সাহা, ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কবিরুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে আদালতকে জানান, প্রায় তিন বছর আগে ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা কার্তুজ ও গাছের ডালে যে ‘লেবেল’ আছে, সেই কাগজে এখনও ময়লা ধরেনি। গাছের ডালটি যে খবরের কাগজে মুড়িয়ে আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ, সেই কাগজটিও চলতি বছরের ২০ অগস্টের। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বলেন, “এ সব দেখেই আমাদের সন্দেহ কেতুগ্রাম থানায় ‘আলামত’ তৈরি করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।” তবে এ দিন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগকারী তারাশঙ্কর পণ্ডিত ‘আলামত’-র ভিতর থাকা দুটি কার্তুজ ও গাছের ডালটি চিনতে পারেন। ওই ডাল দেখিয়ে তিনি আদালতে দাবি করেন, “ওই ডাল দিয়ে কৃপাসিন্ধু সাহাকে মারা হয়। তারপর আমার দিকে গাছের ডাল নিয়ে তাড়া করে চাঁদ শেখ।”
সোমবার থেকে এডিজে শুভ্রজ্যোতি বসুর এজলাসে কৃপাসিন্ধু সাহা খুনের মামলা শুরু হয়েছে। ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিহত হন কৃপাসিন্ধুবাবু। সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনেই অভিযুক্ত হারা শেখ ও চাঁদ শেখকে চিনিয়ে দেন তারাশঙ্করবাবু। আদালতে তিনি জানান, ওই দিন মালগ্রাম থেকে মোরাম রাস্তা ধরে মোটরবাইকে কান্দরা ফিরছিলেন তাঁরা। সেচখালের উপর কালভার্টের কাছে চারজন দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানে চাঁদ শেখ গাছের ডাল দিয়ে কৃপাসিন্ধুকে মারে। বাইক নিয়ে তাঁরা পড়ে যান। তখন আশাদুল্লা শেখ পিস্তল বের করে গুলি চালায়। কৃপাসিন্ধু সাহার বাঁ হাতের বাহুতে লাগে। তারপর হারা শেখ তাঁর মাথায় গুলি করে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ দিন অভিযুক্তের আইনজীবীরা বেলা বারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত জেরা করেন। সরকারি আইনজীবী তাপস মুখোপাধ্যায়ের দাবি, জেরার মুখে তারাশঙ্করবাবু সব ঠিক জবাব দিয়েছেন। এ দিনও দু’পক্ষের প্রচুর অনুগামী আদালতে ছিলেন। তাঁদের সামলাতে আদালত ভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy