আহত: ওসি সুমন দাস।
কেটে গিয়েছে চার দিন। জ্ঞান না-ফেরায় হাওড়ার শ্যামপুরের আহত ওসি সুমন দাসকে বুধবার মল্লিকবাজারে স্নায়ুরোগ চিকিৎসার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হল।
গত কয়েক দিন মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুমনবাবু। পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর পৌঁনে দুটো নাগাদ সুমনবাবুকে মিন্টো পার্কের ওই হাসপাতাল থেকে মল্লিকবাজারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মল্লিকবাজারের হাসপাতালটির তরফে জানানো হয়েছে, চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছে। যার প্রধান হিসেবে কাজ করছেন স্নায়ুরোগ চিকিৎসক দীপেন্দু প্রধান। এ দিন ফের সুমনবাবুর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। হাসপাতালের এক স্নায়ুরোগ চিকিৎসক জানান, সুমনবাবু মাথায় চোট পেয়েছেন। তাই চিকিৎসায় সা়ড়া দিতে একটু সময় লাগছে। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে বোঝা গিয়েছে, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
একটি ওয়াকফ সম্পত্তির দেখভাল কারা করবে, তা নিয়ে শুক্রবার শ্যামপুরের বাড়গড়চুমুকের একই পরিবারের দু’পক্ষের গোলমাল হয়। মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। অভিযুক্তদের ধরতে ওই রাতেই সুমনবাবু সাব-ইনস্পেক্টর তরুণ পুরকায়স্থ এবং দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার ও পিসি পার্টির তিন জনকে নিয়ে গ্রামে হানা দেন। তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরে তাঁরা যখন হামলায় মূল অভিযুক্ত মতিয়র রহমান মুন্সির বাড়ির সামনে পৌঁছন, তখনই বাঁশ, লাঠি নিয়ে একদল লোক তাঁদের উপরে চড়াও হয়। হেলমেট খুলে ফেলে দিয়ে সুমনবাবু ও তরুণবাবুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন দু’জনেই।
সুমনবাবুকে কলকাতার মিন্টো পার্কের হাসপাতালে এবং তরুণবাবুকে উলুবেড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মিন্টো পার্কের হাসপাতালটির চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর চোট পেলেও সুমনবাবুর মস্তিষ্কে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। ওই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, সুমনবাবুকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর পরিবারের। জ্ঞান না ফিরলেও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। প্রয়োজনীয় সব ধরনের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। তরুণবাবুর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন তিনি সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। আগের চেয়ে ভাল আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy