এক শিক্ষকের পেনশনের নথিপত্র প্রস্তুত করার জন্য তিন হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার দায়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের করণিককে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন বিচারক। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফার্স্ট কোর্ট ) ভাস্কর ভট্টাচার্য জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের করণিক গৌতম দামকে এই কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
জেলা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথির মাজনা হাইস্কুলের সহ-শিক্ষক অমিয় নায়েক ২০০৯ সালে অবসরগ্রহণের আগে পেনশনের নথি প্রস্তুতের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের করণিক গৌতম দাম কাজের জন্য অমিয়বাবুর কাছে তিন হাজার টাকা ঘুষ চান বলে অভিযোগ। এরপরই অমিয়বাবু এ বিষয়ে তৎকালীন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ছোটেন ধেনদুপ লামার কাছে ওই করণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। জেলাশাসকের পরামর্শমত অমিয়বাবু ঘুষ দেওয়ার জন্য তিন হাজার টাকার বান্ডিল নিয়ে আসেন। বান্ডিলের মধ্যে ৩টি নোটে জেলাশাসক সাক্ষর করে দেন। ২০০৯ সালের ২৭ নভেম্বর অমিয়বাবু ওই তিন হাজার টাকার বান্ডিল গৌতমবাবুর হাতে দেন। সেই টাকা নেওয়ার পরেই তৎকালীন পূর্ব মেদিনীপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিমাই হালদার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গৌতম দামকে হাতেনাতে ধরেন। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তমলুক থানার পুলিশ গৌতমবাবুকে গ্রেফতার করে।
আদালতের নির্দেশে গৌতম দাম প্রথমে জেল হেফাজতে থাকেন। পরে উচ্চ-আদালতের নির্দেশে তিনি জামিন পান। সরকারি নিয়মানুযায়ী, ওই করণিক নিজের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশ্বনাথ মহাপাত্র জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে ওই মামলার শুনানির পর বিচারক জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের করণিক গৌতমবাবুকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ভাস্কর ভট্টাচার্য গৌতম দামকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy