রাজ্যে পালাবদলের পর একের পর এক এলাকায় শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু এলাকাতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য, শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির দাপাদাপি যে একেবারে তাঁর পছন্দ নয়, রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পরে মহাকরণে দাঁড়িয়েই সেই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, কে শোনে কার কথা!
বুধবারও সেই তালিকায় নাম উঠেছে খোদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। অথচ তার একদিন আগেই অন্য রকম অভি়জ্ঞতা হল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার ছাত্র সংসদের সঙ্গে উপাচার্যের গঠনমূলক আলোচনাই হয়েছে।
এমন আলোচনা এই প্রথম। কর্তৃপক্ষের তরফে ছিলেন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তথা ছাত্রকল্যাণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জয়ন্তকিশোর নন্দী প্রমুখ। অন্যদিকে ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ সরকার-সহ সংসদের অনান্য সদস্যরা।
দু’পক্ষেরই দাবি, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। গঠনমূলক এই আলোচনায় নানা বিষয়ই উঠে আসে। মত বিনিময় হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমনও আশ্বাস দেন, এ বার থেকে মাসে অন্তত একবার ছাত্র সংসদের সঙ্গে এমন আলোচনার চেষ্টা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জনবাবু বলেন, “সংসদের পক্ষ থেকে কিছু দাবি এবং সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। দাবি এবং সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।” সংসদের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ বলেন, “খুব ভাল আলোচনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ দাবি এবং সমস্যাগুলোর কথা মন দিয়ে শুনেছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।”
ঠিক কি কি দাবি জানিয়েছে সংসদ? প্রত্যেক বিভাগে স্মার্ট ক্লাস চালু, ছাত্রছাত্রীদের স্পোকেন ইংলিস, কম্পিউটার শেখানো, নতুন একটি ক্যাশ কাউন্টার চালু, উন্নতমানের ক্যান্টিন চালু, নেট- সেট প্রভৃতি পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে কোচিং শুরুর মতো কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সময় চেয়েছিল ছাত্র সংসদ। সেই মতোই ওই আলোচনা হয়। এক কর্তা বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আলোচনার ফলে তাও ছাত্রছাত্রীদের জানানো গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy