এভাবেই রাস্তার ধারে পড়ে থাকে জঞ্জাল (বাঁ দিকে) এই মেশিনই সাফ করবে আবর্জনা (ডান দিকে)।
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
এ বার এই তকমা গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হল ক্ষীরপাই পুরসভা। বর্জ্য-পদার্থ ব্যবস্থাপক পদ্ধতি মেনে শহরের যাবতীয় আবর্জনাকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলার আগে কমপ্যাক্টর যন্ত্র ব্যবহার শুরু হতে চলেছে। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য নগরন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ক্ষীরপাই শহরে ঢুকেছে এই মেশিন। পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান বলেন, “দ্রুত এই যন্ত্রের সাহায্যে পুরসভার সমস্ত এলাকার আবজর্নাকে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হবে। পচনশীল এবং পচনশীল নয়-দুই রকমের জঞ্জালকে আলাদা করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হবে। দূষণ মুক্ত করতে সব ব্যবস্থাই নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমায় পাঁচটি পুরসভা। প্রতিটি পুরসভারই বয়স শতাধিক। পুরসভার বয়স বেড়ে চললেও এখনও কোনও পুরসভা শহরকে জঞ্জাল মুক্ত করতে পারেনি। রাস্তা থেকে অলি-গলিতে পড়ে থাকে নানা আবজর্না। স্থায়ী ভ্যাট তো দূর, নেই পর্যাপ্ত অস্থায়ী ভ্যাট বা জঞ্জাল ফেলার গাড়িও। স্বাভাবিক ভাবেই জঞ্জাল ভরে রয়েছে প্রতিটি রাস্তায়। জঞ্জাল সরিয়ে এলাকাকে দূষণ মুক্ত করতে বাসিন্দারা দাবি জানালেও হুঁশ ছিল না কর্তৃপক্ষের।
নিয়মানুযায়ী, বর্জ্য-পদার্থ ব্যবস্থাপক পদ্ধতি মেনেই শহরকে পরিষ্কার রাখতে বাধ্য পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জেলার ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল, ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোনা, খড়ার ও রামজীবনপুর-কোনও পুরসভাতেই এই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকী,ঘাটাল সহ সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষগুলি বিজ্ঞানসম্মত ভাবে তৈরি করেনি ডাম্পিং গ্রাউন্ডও। শহর সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে ইঁট দিয়ে ঘিরেই ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। ছড়াচ্ছে দুর্ঘন্ধও। পুর বাসিন্দাদের অভিযোগ, নাম কা ওয়াস্তে কিছু এলাকায় অস্থায়ী ভ্যাট রয়েছে। নোংরায় ভ্যাটগুলি ভর্তি হয়ে রাস্তাতেই জঞ্জালের স্তূপ হয়ে থাকে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি মহকুমার পাঁচটি পুরসভার মধ্যে প্রথম ক্ষীরপাই পুরশহরেই কমপ্যাক্টর মেশিন ঢুকেছে। তবে এবার এই যন্ত্র আনতে উদ্যোগী হয়েছে অনান্য পুরসভাগুলিও। মেশিনটির কাজ হল, মূলত জঞ্জালকে মেশিনের মধ্যে ফেলে চাপ দিয়ে আয়তনে ছোট করে দেওয়া। পরে পচনশীল এবং পচনশীল নয়-দু’ধরনের নোংরাকে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেওয়া। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “শুধু ক্ষীরপাই পুরসভাই নয়, এ বার সমস্ত পুরসভাতেই এই মেশিন আসবে।” ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষের দাবি, “আমাদের পুরসভাতেও এই মেশিনের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চলতি মাসেই ঘাটালেও ওই মেশিন আসার সম্ভবনা রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy