দোকানের কর্মীরা ধান ওজন করতে ব্যস্ত ছিলেন। সেই ফাঁকে দোকান ঢুকে কয়েক লক্ষ টাকা সমেত ক্যাশবাক্স নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কেশিয়াড়ি জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন বাজার এলাকায়।
এ দিন এলাকায় হাট বসেছিল। তখন ওই ধান গোলায় ধান ওজনের কাজ চলছিল। ভেতরে ব্যস্ত ছিলেন কর্মীরা। মালিক ছিলেন বাইরে। দু’ধরনের ধান যাতে মিশে না তা দেখতে মালিক ভেতরে যেতেই ওই টাকার বাক্স চুরি যায় বলে অভিযোগ। পরে দোকান থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে ঢ্যাকড়ায় একটি জমির ধার ভাঙা বাক্স মেলে। তার ভেতর ৫০ হাজার টাকার চেক ছাড়া আর কিছু ছিল না। দোকান মালিক কুশধ্বজ মাইতির দাবি, ভেতরে থাকা প্রায় ৩ লক্ষ ১২হাজার টাকা খোওয়া গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন হাট বসায় বেশ ভিড় হয়েছিল ওই এলাকায়। ধানগোলাতে চলছিল ধান কেনাবেচা। কুশধ্বজবাবু জানান, ক্রেতা পরিচয় দিয়েই দুই এক যুবক মোটরসাইকেলে চেপে তাঁর দোকানের কাছে আসে। তাদের একজন দোকানে ঢোকে। এর পরেই কুশধ্বজবাবু দোকানের ভেতরে ঢোকায় টাকার বাক্স চুরি যায়। অভিযোগ, মোটরসাইকেলে আসা ওই দুই যুবকই বাক্স নিয়ে চম্পট দেয়। এরপরে বাইরে এসে চিৎকার শুরু করেন কুশধ্বজবাবু। কিছুক্ষণ পরে আসে পুলিশ।
পরে কেশিয়াড়ি-বেলদা সড়কের ধারে ভাঙা বাক্সটি পাওয়া যায়। ভেতরে তখন কোনও টাকা ছিল না। শুধু ছিল একটি চেক। ওই দোকানের মালিক কুশধ্বজবাবু বলেন, “ওজনের সময় দু’ধরনের ধান যাতে মিশে না যায় তা দেখতে আমি মিনিট দু’য়েকের জন্য দোকানের ভিতরে গিয়েছিলাম। বাইরে এসে দেখি মোটর সাইকেলে বসে টাকার বাক্স নিয়ে দু’জন পালাচ্ছে। চিৎকার করেও লাভ হয়নি।”
কেশিয়াড়ির ভরা বাজার এলাকায় এ ভাবে চুরির ঘটনা বিরল। ফলে, এ দিনের ঘটনার পরে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সকলেই কড়া পুলিশি ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন। কুশধ্বজবাবুও বলেন, “পুলিশ মোড়ে মোড়ে থাকে। কিন্তু টহল দিতে দেখি না। আমরা চাই পুলিশ সর্বত্র টহল দিক।” যদিও পুলিশের দাবি, এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকে। তারই মধ্যে নজর এড়িয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy