কারও বয়স ১৫, কারও আবার ৮। এই বয়সেই পরিবারের প্রধান হয়ে উঠেছে তমলুকের সুরজিৎ বা নন্দীগ্রামের সাবিত্রীরা। বাড়িতে বাবা, মা, দাদু-ঠাকুমাও আছেন। তবু সরকারি হিসাবে ওরাই পরিবারের প্রধান। সৌজন্যে ডিজিটাল রেশন কার্ড।
সমস্যা রয়েছে আরও অনেক। অনেক গ্রহীতার কার্ডেই রেশন ডিলারের নাম এসেছে বা়ড়ি থেকে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে। কোলাঘাটের কোলা ২ গ্রামপঞ্চায়েতের বাগডিহা গ্রামের রঘুনাথ গুছাইত ও মেনকা গুছাইতের অভিযোগ, ‘‘নতুন রেশন কার্ডে দোকান দেখাচ্ছে ১০ কিলোমিটার দূরে দেড়িয়াচক গ্রামে। আমাদের মত গরিব মানুষ কী ভাবে অতদূর গিয়ে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আসব?’’ কোলাঘাট ব্লকের গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা মিলন মণ্ডলের কার্ডেও রেশন দোকান দেখানো হয়েছে বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সিদ্ধা ২ গ্রামপঞ্চায়েতের এলাকার। মিলনবাবুর অভিযোগ, ‘‘এইসব ভুল সংশোধনের জন্য দৌড় ঝাঁপ করতেও হয়রান হতে হবে। কী লাভ হল?’’
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্যও। তিনি বলেন, ‘‘ডিজিটাল রেশন কার্ডে তথ্যগত সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে। আর যাঁদের নাম অন্য এলাকার রেশন ডিলারের কাছে নথি ভুক্ত হয়েছে তাঁদেরও আগের ডিলারের কাছে নথিভুক্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ জেলা প্রশাসনের দাবি, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ শতাংশ ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলি হয়েছে। কিন্তু বণ্টন করা ডিজিটাল রেশন কার্ড প্রাপকদের নামের তালিকা থেকে বহু গরিব পরিবার বাদ পড়েছে যেমন, তেমনই বহু স্বচ্ছল পরিবার এই রেশন কার্ড পেয়েছে বলে অভিযোগ। ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক মাধব পাঁজা বলেন, ‘‘খাদ্য সুরক্ষার রেশনকার্ড প্রাপক তালিকা নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভ রয়েছে। তার উপর নতুন রেশন কার্ডের একাংশে ভুলের জন্য নাজেহাল হতে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy