Advertisement
০৮ মে ২০২৪

প্রাথমিকের ফর্ম পেতে হয়রানির নালিশ পূর্বে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য আবেদন করার জন্য ফর্ম পেতে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের চারটি শাখায় বুধবার ইন্টারনেট পরিষেবা বিকল থাকায় ওই টাকা জমা দিয়ে ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করে লোকজনের ক্ষোভ দেখা দেয় বলে অভিযোগ।

কাঁথির একটি ফর্ম বিতরণ কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন। সোহম গুহর তোলা ছবি।

কাঁথির একটি ফর্ম বিতরণ কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন। সোহম গুহর তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৫ ০০:৫৯
Share: Save:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য আবেদন করার জন্য ফর্ম পেতে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের চারটি শাখায় বুধবার ইন্টারনেট পরিষেবা বিকল থাকায় ওই টাকা জমা দিয়ে ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করে লোকজনের ক্ষোভ দেখা দেয় বলে অভিযোগ। এ দিন বিকেলেও ফর্ম না পেয়ে ব্যাঙ্কের সামনে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন অপেক্ষারত মানুষ। আধ ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।

এ দিন ওই ব্যাঙ্কের তমলুক শহরের শালগেছিয়া শাখায় আবেদনপত্র তোলার জন্য ভোর থেকে লাইন পড়েছিল প্রায় এক হাজারের বেশী মানুষের। এক ঘণ্টা পরে ইন্টারনেট ব্যবস্থা সচল হওয়ার পরে টাকা জমা নিয়ে ফর্ম দেওয়া শুরু হলে পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হয়।

ব্যাঙ্ক ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষায় বসার আবেদনপত্র দেওয়ার জন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চার মহকুমায় চারটি শাখা থেকে ফর্ম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিন ফর্ম নিতে আসা আবেদনকারীরা অভিযোগ করেন, ব্যাঙ্কের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষার পরে দেখা যায় নির্দিষ্ট সময় থেকে ফর্ম দেওয়া হচ্ছে না। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি মানসকুমার দাস বলেন, ‘‘এ দিন সকালে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় জেলার চারটি জায়গাতেই ফর্ম দেওয়া শুরু করতে কিছুটা সময় দেরি হয়েছে। তবে তারপরে ফর্ম দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ স্বাভাবিকভাবে হয়েছে।’’

গত সোমবার থেকে ফর্ম দেওয়া শুরু হয়েছে। ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়া চলবে শনিবার পর্যন্ত। একে জেলার মাত্র চারটি স্থান থেকে এই ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। তার উপর মাত্র ছ’দিন ফর্ম তোলা ও জমার জন্য সময় দেওয়ার ব্যাঙ্কের শাখার সামনে ভিড় জমছে। এর মধ্যে ব্যাঙ্কের ইন্টারনেট ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় ফর্ম তোলার জন্য হয়রানি আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যুবক-যুবতীরদের। তমলুকে ফর্ম নিতে আসা চণ্ডীপুরের গড়গ্রাম এলাকার যুবক দীপঙ্কর জানা বলেন, ‘‘ফর্ম তোলার ভোর চারটে থেকে আমি এখানে এসে অপেক্ষা করছি। সকাল ১০ টার সময় ব্যাঙ্ক খোলার পরে জানলাম ফর্ম পেতে দেরি হবে। কে জানে কখন মিলবে ফর্ম।’’

প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষার ফর্ম দেওয়া নিয়ে আবেদনকারীদের এই হয়রানি নিয়ে সরব হয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সতীশ সাউয়ের অভিযোগ, ‘‘রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রশাসনিক অব্যবস্থার ফলেই জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফর্ম পেতে বেকার যুবক-যুবতীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আরও অতিরিক্ত স্থান থেকে ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়ার ব্যবস্থা ও সময়সীমা বৃদ্ধি করে এই হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE