Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সন্ধ্যাকে টিএমসিপির উপহার কর্ণগড় মন্দিরের প্রসাদী ফুল

সন্ধ্যা রায়ের জন্য মঙ্গলকামনা করে কর্ণগড়ের মহামায়া মন্দিরে সকালে পুজো দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সংগঠনের সভায় সেই প্রসাদী ফুলই তাঁর হাতে দিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-র কর্মীরা।

ছুঁয়ে দেখা। ছাত্রদের মাঝে অভিনেত্রী। —নিজস্ব চিত্র।

ছুঁয়ে দেখা। ছাত্রদের মাঝে অভিনেত্রী। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৪৩
Share: Save:

সন্ধ্যা রায়ের জন্য মঙ্গলকামনা করে কর্ণগড়ের মহামায়া মন্দিরে সকালে পুজো দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সংগঠনের সভায় সেই প্রসাদী ফুলই তাঁর হাতে দিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-র কর্মীরা। ফুল পেয়ে আপ্লুত সন্ধ্যাদেবী বলেন, “আমি তোমাদের ছেলেমেয়ের মতো দেখি। তোমাদের কাছে আমার আবেদন, এগিয়ে এসো। আমি ভোটপ্রার্থী।” তৃণমূলের এই অভিনেত্রী প্রার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের কথাও মনে করিয়ে দেন।

এ দিন বিকেলে মেদিনীপুর শহরে এক সভাঘরে প্রার্থী সন্ধ্যাদেবীর সমর্থনে নির্বাচনী সভার আয়োজন করে টিএমসিপি। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যোগ দেন। ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা, সংগঠনের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি প্রমুখ। এক পশলা বৃষ্টির জেরে নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে সভা শুরু হয়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতারা স্মৃতিচারণায় ফিরে যান। মৃগেনবাবু বলেন, “আমিও ছাত্রজীবনে রাজনীতি করেছি। তাই ছাত্র সংগঠনের প্রতি আলাদা একটা দুর্বলতা আছে।” উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দিয়ে দীনেনবাবু বলেন, “ছাত্র সংগঠনের কিছু দায়িত্ব আছে। তা পালন করতে হবে।” টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেবের কথায়, “মানুষের কাছে গিয়ে দলের কথা বলতে হবে। প্রতি বুথে যেন অন্তত তিন জন ছাত্র প্রচার-দলে থাকেন। ছাত্রদের বাড়ির রান্নাঘরে পৌঁছতে হবে।” লোকসভা ভোটের পর এ রাজ্যে সিপিএমের পায়ের তলায় আর মাটি থাকবে না বলেও দাবি করেন শঙ্কুদেব।

ক্লিক করুন...

এ দিন বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছন সন্ধ্যাদেবী। ব্যাচ পরিয়ে, ফুলের তোড়া দিয়ে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়। তখনই দেওয়া হয় মা মহামায়ার পুজোর ফুল। টিএমসিপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “আজ সকালেই আমরা সন্ধ্যাদির জন্য কর্ণগড়ের মা মহামায়ার মন্দিরে পুজো দিয়েছি। সেখান থেকে মায়ের পায়ের ফুল নিয়ে এসেছি। সেই চাঁপা ফুলই সন্ধ্যাদির হাতে দিয়েছি।” উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই এ দিন অভিনেত্রীকে চোখের দেখা দেখতে মঞ্চের সামনে ভিড় করেন। মোবাইলে ছবি তোলেন। তারকা প্রার্থীও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে হাত মেলান।

বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এ দিন সন্ধ্যায় রেলশহর খড়্গপুরেও সভা করেন সন্ধ্যাদেবী। সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ধ্যানসিংহ ময়দানের ওই সভায় খড়্গপুরে তৃণমূলের বিবদমান দুই গোষ্ঠীর নেতা জহরলাল পাল ও দেবাশিস চৌধুরীও হাজির ছিলেন। গোড়ায় বাংলায় শুরু করলেও পরে হিন্দিতে বক্তব্য রাখেন ‘আসলি-নকলি’র অভিনেত্রী। মিশ্র ভাষাভাষির এই শহরের ৭০ ভাগ মানুষই অবাঙালি। তাঁদের মন জয়ে সন্ধ্যাদেবী বলেন, “ম্যায় আপ লোগো কি সাথ হি রহুঙ্গি। মুঝে ভোট দিজিয়ে, শক্তি দিজিয়ে, অউর মমতা ব্যানার্জি কি হাত মজবুত কিজিয়ে।” হিন্দি বক্তব্যে সভায় হাততালির ঝড় ওঠে। পুরনো দিনের এই অভিনেত্রীকে দেখতে সভায় ভিড় হয়েছিল ভালই। সব দেখেশুনে তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর মুখে হাসি। সেই হাসির রেশ নিয়েই এ দিন খড়্গপুর ছাড়েন সন্ধ্যাদেবী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

sandhya roy election campaign karnagarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE