Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সাঁকরাইলে উদ্ধার জোড়া ট্যারান্টুলা

আচমকা পায়ের কাছে বড়সড় রোমশ মাকড়সা দেখে বৃহস্পতিবার ঘাবড়ে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা মাইতি। পরে জানা যায়, সেটি ট্যারান্টুলা। দ্রুত মাকড়সাটি কৌটো বন্দি করেন সন্ধ্যাদেবীর ভাই।

ট্যারান্টুলা: এই মাকড়সা দেখেই ছড়ায় আতঙ্ক। নিজস্ব চিত্র

ট্যারান্টুলা: এই মাকড়সা দেখেই ছড়ায় আতঙ্ক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৪
Share: Save:

আচমকা পায়ের কাছে বড়সড় রোমশ মাকড়সা দেখে বৃহস্পতিবার ঘাবড়ে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা মাইতি। পরে জানা যায়, সেটি ট্যারান্টুলা। দ্রুত মাকড়সাটি কৌটো বন্দি করেন সন্ধ্যাদেবীর ভাই। বন দফতর অবশ্য জানাচ্ছে, ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের বনপুরা গ্রামে পাওয়া ওই মাকড়সার বিষে প্রাণহানির আশঙ্কা নেই।

খড়্গপুরের ডিএফও অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রায় ৮ সেন্টিমিটার লম্বা মাকড়সাটি ভারতীয় ট্যারান্টুলা প্রজাতির বলে মনে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করানোর পরে মাকড়সাটি গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।” ডিএফও জানান, ট্যারান্টুলা মাকড়সা মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় পাওয়া যায়। এ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার কিছু এলাকায় ট্যারান্টুলা প্রজাতির মাকড়সা মেলে।

সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামে ট্যারান্টুলা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। ভারতীয় ট্যারান্টুলা জমির পোকামাকড় খেয়ে উপকার করে। এই মাকড়সা জাল বোনে না। স্যাঁতসেতে জঙ্গলে এরা লুকিয়ে থাকে। শরীর থেকে চটচটে পদার্থ ছিটিয়ে শিকার ধরে এরা। এই মাকড়সায় ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ডিএফও-র আবেদন, “এই মাকড়সা দেখলে আতঙ্কিত না হয়ে বন দফতরে খবর দিন।”

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাটির ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন বছর চুয়ান্নর সন্ধ্যাদেবী। হঠাৎ পায়ের কাছে মাকড়সা দেখে আঁতকে ওঠেন তিনি। পঙ্কজবাবুর মাসতুতো ভাই সাহেব জানা মাকড়সাটি দেখে ট্যারান্টুলা বলে শনাক্ত করেন। মাকড়সাটি কৌটোবন্দি করে ফেলেন তিনি। খবর দেওয়া হয় খড়্গপুর বন বিভাগের অধীনস্থ স্থানীয় সাঁকরাইল বিট অফিসে। বন দফতরের কর্মীরা শুক্রবার কৌটো বন্দি মাকড়সাটিকে খড়্গপুরে নিয়ে যান।

সাহেববাবুর দাবি, গত বছরও তাঁদের বাড়িতে দু’টি ট্যারান্টুলা মেলে। একটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর একটি পালিয়ে যায়।

এ দিনই সকালে সাঁকরাইল ব্লকের আঁধারি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুরা গ্রামে ট্যারান্টুলা দেখতে পাওয়া যায়। ট্যারান্টুলার মতো বড় মাকড়সা দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা সেটি মেরে পুড়িয়ে দেয়। ঝাড়গ্রামের পরিবেশ কর্মী মৃণ্ময় সিংহ বলেন, ‘‘ট্যারান্টুলা নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। জঙ্গলের পরিধি কমে যাওয়ার ফলেই মানুষ ও বন্যপ্রাণের মধ্যে সংঘাত তৈরি হচ্ছে। ফলে আমাদেরই সতর্ক থাকতে হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tarantula Sakrail
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE