শ্রীনু নায়ডু খুনের মামলায় ধৃত দু’জনের টিআই প্যারেড হল মঙ্গলবার। এদিন বিকেলে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এই প্যারেড হয়। ধৃত দু’জনকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য ঘটনার তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী এসেছিলেন। ছিলেন এক বিচারকও। বিচারকের সামনেই প্রত্যক্ষদর্শীরা দু’জনকে চিহ্নিত করেন। টিআই প্যারেডের কথা মানছে পুলিশও। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “এ দিন টিআই প্যারেড হয়েছে। দু’জন চিহ্নিত হয়েছে।” জেল-কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। মেদিনীপুর জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “এ ব্যাপারে কিছু বলব না!”
শ্রীনু খুনের মামলায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে শঙ্কর রাও এবং জন ফ্রান্সিস এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বাকি ৬ জনের মধ্যে ৫ জন জেল হেফাজতে রয়েছে। একজন মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। এই মামলায় প্রথমে ৭ জন ধরা পড়ে। পরে জন ফ্রান্সিস ধরা পড়ে। প্রথমে ধৃত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় সামনে আনে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছিল, এই ৪ ধৃতের নাম শঙ্কর রাও, নন্দ দাস, বরুণ ঘোষ ও রাজেশ সাউ। পরে এক সূত্রে বাকি তিনজনের নামও জানা যায়। এই ৩ জন ধৃত হল কৃষ্ণা রাও, রাধেশ্যাম সিংহ ও সঞ্জয় কুমার। গত শুক্রবারই জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ জানিয়েছিলেন, ‘তিনজনের টিআই প্যারেড করানো হবে।” সেই মতো মঙ্গলবার টিআই প্যারেড হয়। সূত্রের খবর, ধৃত দু’জনকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য এ দিন যে তিনজন জেলে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন শ্রীনুর স্ত্রী পূজা নায়ডুর মা বি মিনা কুমারিও। ঘটনার পর বি মিনা কুমারিই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
গত বুধবার বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে দুস্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। দুষ্কৃতী হামলায় নিহত হয় শ্রীনুর ‘ডান-হাত’ বলে পরিচিত ধর্মা রাও। জখম হয় তিনজন।
মঙ্গলবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে টিআই প্যারেডে কৃষ্ণা রাও ও রাধেশ্যাম সিংহকে প্রত্যক্ষদর্শীরা চিনিয়ে দেন। জেলের এক সূত্রের দাবি, প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে দু’জন খুব ভাল ভাবেই ওদের চিনতে পারেন। শ্রীনু খুনে এখনও বেশ কয়েকজন পলাতক। পলাতকদের খোঁজে খড়্গপুরের পাশাপাশি ভিন্ রাজ্যেও তল্লাশি চলছে বলে পুলিশের এক সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy